গুলিস্তান, ফার্মগেইটসহ কয়েক জায়গায় আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক অর্ধশতাধিক
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলিস্তান, ফার্মগেইট, কারওয়ান বাজার, আগারগাঁও ও পান্থপথ এলাকায় হঠাৎ করে মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুর দুইটার দিকে এসব ঝটিকা মিছিল হলে পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন জানান, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেইটের দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার সময় পুলিশ বাধা দেয় এবং সেখান থেকে ৫০ জনের বেশি লোককে আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, রাজধানীর ফার্মগেইট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে পানি ভবনসহ তেজগাঁও এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের লোকজন ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব এলাকায় ডিএমপির বিভিন্ন টিম তৎপর রয়েছে।
ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বার্তায়ও জানানো হয়, গোয়েন্দা পুলিশ বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের উল্টো পাশে পানি ভবনের সামনে থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবু নাছের বলেন, দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল ভাসানী হকি স্টেডিয়াম হয়ে আহাদ পুলিশ বক্সের দিকে যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দলের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এদিকে খামারবাড়ি থেকে শুরু হওয়া আরেকটি মিছিল ফার্মগেইটের দিকে গেলে সড়কে জটলা তৈরি হয়। একজন সংবাদকর্মী জানান, বাইকে ফার্মগেইট যাওয়ার পথে মিছিলের কারণে তাকে আটকে থাকতে হয়।
এর আগে আগারগাঁও, শ্যামলী, গুলিস্তান ও তেজগাঁও নাবিস্কো এলাকাতেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। সে সময় শত শত মানুষ হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। একই আদালতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি দলটির নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আপাতত কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগও নেই আওয়ামী লীগের।
বিআলো/এফএইচএস