বেসরকারি ও সরকারি চিকিৎসাসেবায় এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট অন্তর্ভুক্তির দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: “Think Health, Think Pharmacists” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সোসাইটি অব বাংলাদেশী ফার্মাসিস্টস জাতীয় প্রেসক্লাবে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
‘স্বাস্থ্যসেবায় ফার্মাসিস্টের ভূমিকা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আলম নিধন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. সাইফ উল্লাহ মুখশী, ডা. সাখাওয়াত হোসেন মায়শ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রফেসর ড. সোহেল রানা।
সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে ফার্মেসি অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন করে দেশে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। আধুনিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা গঠনে তাঁর সেই উদ্যোগ ছিল অগ্রগামী। বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে ফার্মাসিস্টরা শুধু ওষুধ উৎপাদন বা সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন; তারা চিকিৎসকের সহযোদ্ধা, রোগীর আস্থার প্রতীক এবং ওষুধের গুণগত মান রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় এখনো ফার্মাসিস্টদের প্রাপ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেন তারা। উন্নত দেশের মতো প্রতিটি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ফার্মাসিস্টের নিয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সোসাইটি অব বাংলাদেশী ফার্মাসিস্টস আশা প্রকাশ করে যে, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফার স্বাস্থ্যনীতির আলোকে ভবিষ্যতে বেসরকারি ও সরকারি চিকিৎসাসেবায় এ-গ্রেড ফার্মাসিস্টদের যথাযথ মর্যাদা ও দায়িত্ব প্রদান নিশ্চিত করা হবে।
বিআলো/এফএইচএস