• যোগাযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণে সমাধান খুঁজতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা 

     dailybangla 
    26th Sep 2025 8:48 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিউ ইয়র্কের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা
    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সামাল দেওয়ার উপায় বের করতে হবে
    আলবেনিয়ার ভিসা সহজ করার আহ্বান
    বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য শ্রম সংস্কার অপরিহার্য

    কূটনৈতিক প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও তরুণদের মৃত্যুর জন্য দায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। এটি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে উত্তেজনাপূর্ণ করেছে। পাশাপাশি ভারত থেকে অনেক মিথ্যা খবরও ছড়ানো হয়েছে যা খুবই খারাপ বিষয়। গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি ও এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে সবাই উপকৃত হয়। আমাদের আঞ্চলিক অর্থনীতির কথা ভাবা উচিত। এটাই আমাদের করা উচিত।

    কিন্তু বর্তমানে আমাদের ভারতীয়দের সঙ্গে সমস্যা হচ্ছে, কারণ তারা শিক্ষার্থীদের কার্যকলাপ পছন্দ করছে না। ভারতের সংবাদমাধ্যমে ইসলামি আন্দোলনের ভুয়া খবরের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এসবের সঙ্গে তালেবানের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত খবর যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি তারা বলেছে, আমি নিজেও নাকি তালেবান। আমার দাড়ি নেই, বাড়িতে রেখে এসেছি। এ সময় সার্কসহ আঞ্চলিক সংস্থার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি। আঞ্চলিক অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।

    বাংলাদেশও আপনার অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। এটাই সার্কের ধারণা। সার্কের পুরো ধারণা বাংলাদেশে জন্মেছে এবং বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের রাজধানীতে এই ধারণা প্রচার করেছে। সার্ক একটি পরিবারের মতো, যার মূল ভাবনা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একত্রিত করা। তরুণরা যেন একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে, শিক্ষা ও ব্যবসায় অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একে অপরের দেশে সফর করা, বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়াশোনা করা এবং দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটাই মূল ধারণা। তবে কিছুকাল আগে এটি কোনো এক দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খায়নি। তাই আমরা এটিকে স্থগিত করতে বাধ্য হই।

    আমরা দুঃখিত, এবং সবাইকে আবারও একত্রিত করতে চাই। এটাই আমাদের সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ। আমি বলেছিলাম, প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন নেপাল, ভুটান, এবং ভারতের সাতটি রাজ্যের কথাও ভাবুন। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সাতটি রাজ্য রয়েছে, যাদের সমুদ্র সংযোগ নেই। এগুলো ল্যান্ডলকড অঞ্চল। আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার মালয়েশিয়া। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমঝোতায় আসা সহজ নয়, বিশেষ করে মায়ানমার, যাদের রোহিঙ্গা বিষয়ক সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তারা হয়ত এগিয়ে আসবে না, তবে আমরা কাজ চালিয়ে যাব। আমরা মনে করি না, এটি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থায়ী দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে। আমাদের তা করার দরকার নেই। তাই সব সমস্যা সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গারা চাইলে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবেন, তাদের ঘরবাড়ি, ব্যাবসা ও পেশায় ফিরে যেতে পারবেন।

    তিনি আরো বলেন, আমাদের মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকবে। একে অপরের সঙ্গে বিরোধ করা কারো জন্যই উপকারী নয়। তাই সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের অনানুষ্ঠানিক ভাবে আসিয়ানের সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়েছে ড. ইউনূস বলেন, আমরা এটা করতে পারি। আসিয়ান একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আঞ্চলিক সমন্বয় ও আন্তঃসংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সামাল দেওয়ার উপায় বের করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা ভবিষ্যতে আসা প্রযুক্তির অপব্যবহার বন্ধে এই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ‘সবার জন্য মানবাধিকার, সর্বত্র মানবাধিকার-আমাদের অভিন্ন মানবতার মূল বিষয়’ শীর্ষক জাতিসংঘের একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ওএইচসিএইচআর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমতা (এআই) এসেছে, আপনি তার সঙ্গে কীভাবে যুদ্ধ করবেন, কীভাবে এআই নিয়ন্ত্রণ করবেন বা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি যেগুলো আসবে সেগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? আমি বলছি কারণ আমাদের এর একটা উপায় বের করতে হবে। আমাদের কাছে সমাধান নেই, আপনি একদিকে সুরক্ষা দিতে গিয়ে আরেকদিক উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন। এটা কীভাবে সামাল দেবেন, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি।

    তিনি বলেন, আমি ভাবছিলাম যে স্বাধীনতার কথা আমরা বলছি সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার সম্পর্কে, যেসব স্বাধীনতা নিয়ে আমরা সচরাচরই আলাপ করি। স্বাধীনতার অনেক রকম অপব্যবহার হয়ে থাকে, আপনি যদি গণমাধ্যমের দিকে তাকান, যেকোনো যোগাযোগেরমাধ্যমের দিকে খেয়াল করুন, আপনার কাছে অর্থ, সম্পদ, রাজনৈতিক ক্ষমতা যদি থাকে, তাহলে তা আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। একদিকে আমরা স্বাধীনতার কথা বলছি, অন্যদিকে প্রক্রিয়া তৈরি করছি সারা জীবনের জন্য স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার। এখান থেকে আমাদের উল্টো পথে আসতে হবে। স্বাধীনতা দেওয়া হয় কিন্তু তার অপব্যবহার করার জন্য না।

    প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, বিষয়টি আরো জটিল হয়ে দাঁড়ায় যখন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমন হয়। প্রযুক্তি আসে, তারা তাদের স্বাধীনতা ব্যবহার করে প্রযুক্তি নিয়ে আসে এবং স্বাধীনতার অপব্যবহার করে ব্যাপক আকারে যা খুশি বলে, যা খুশি করে। তাহলে স্বাধীনতা কোথায় যাচ্ছে? কোন স্বাধীনতাকে আমরা রক্ষা করছি? ভুয়া খবর, মানহানিকর প্রচারণা, যারা অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণ করে, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে যেকোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষীতার জন্য, এটা তো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    আলবেনিয়ার ভিসা সহজ করার আহ্বান : আলবেনিয়া তার ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী নিয়োগে প্রবল আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের সময় আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতি বজরাম বেগাজ এই প্রস্তাবটি দেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টা আলবেনিয়ার ভিসা সহজ করার আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট বেগাজ বলেন, আমাদের দেশের জন্য শ্রমিক দরকার এবং বেশ কয়েকটি আলবেনিয়ান কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে।

    তিনি আলবেনিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল রেখাকে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরে বিশেষ করে পর্যটনের মতো খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করার ওপর জোর দেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ তার গতিশীল ও তরুণ শ্রমশক্তি নিয়ে আলবেনিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য ভালো অবস্থানে রয়েছে। তিনি আলবেনিয়া সরকারকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার আবেদনের জন্য নয়াদিল্লি যেতে হয়। জবাবে প্রেসিডেন্ট বেগাজ বলেন, আলবেনিয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা চালুর বিষয়টি বিবেচনা করছে।

    তিনি সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি সফরসহ আরো শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততার আহ্বান জানান। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে কারখানা ও কৃষি শ্রমিক পর্যন্ত বিস্তৃত জনশক্তি সরবরাহে বাংলাদেশের সক্ষমতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো সুবিন্যস্ত করতে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। প্রেসিডেন্ট বেগাজ আরো ঘোষণা দেন, আলবেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদ্যমান আন্তর্জাতিক তালিকাভুক্তি স্কিমের আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

    বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য শ্রম সংস্কার অপরিহার্য : প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, বৃহৎ পরিসরে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য শ্রম সংস্কার অপরিহার্য। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    শ্রম আইন, শ্রমিকের অধিকার ও চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন কূটনীতিক, জাতিসংঘ কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা আলোচনায় অংশ নিয়ে শ্রম খাত সংস্কার অব্যাহত রাখার প্রতি ঐকমত্য প্রকাশ করেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইএলও মহাপরিচালক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা শ্রম খাত সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির উন্নতির সম্ভাবনা তুলে ধরেন। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের আগে রাজনৈতিক নেতাদের সংক্ষিপ্ত মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যৎ সরকার যেই হোক, খাতটির প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই হবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কার প্রচেষ্টাকেও স্বীকার করেন। জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, তাদের দলের অনেক নেতার সরাসরি অভিজ্ঞতা রয়েছে পোশাক শিল্পে কাজ করার।

    এ অভিজ্ঞতা খাতটিকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। তিনি সরকারের সংস্কার পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমান সংস্কার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। তিন নেতার বক্তব্যেই অভিন্নভাবে উঠে আসে পোশাক রফতানিতে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবি। তাদের অভিমত-সব সময় ক্রেতাদের শর্তে নয়, বরং ন্যায্যতার ভিত্তিতে দাম নির্ধারিত হওয়া উচিত। এ বিষয়ে সর্বদলীয় সমর্থন দেখা যায়।

    জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা ডা. তাসনিম জারা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় তিনি মেডিক্যাল শিক্ষার্থী হিসেবে আহতদের সেবা দেন। তিনি বলেন, সেই ঘটনাই আমার রাজনৈতিক চিন্তা গড়ে দিয়েছে। ডা. জারা শ্রম নিরাপত্তার মানবিক দিক ও সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। সমাপনী বক্তব্যে ড. ইউনূস শ্রম খাত সংস্কারকে অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন ও শ্রমিকের কল্যাণে অপরিহার্য উল্লেখ করে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

    বিআলো/ইমরান

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2025
    M T W T F S S
    1234567
    891011121314
    15161718192021
    22232425262728
    2930