বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পঙ্গুত্ব—চিকিৎসার অভাবে নিঃস্ব জলফু মিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ রাজধানীর ব্যস্ত নগরজীবনের ভিড়ে এক কোণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জলফু মিয়া। মিরপুরের মাজার রোডের ২য় কলোনির 56/A/A নম্বর বাড়ির এই মানুষটি আড়াই বছর আগে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন। সেদিনের সেই মুহূর্ত তার জীবনের গতিপথই পাল্টে দেয়। স্বাভাবিক কর্মক্ষম মানুষ থেকে তিনি পরিণত হন প্রায় পঙ্গুতে।
দুর্ঘটনার পর ধীরে ধীরে তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অচল হয়ে যায়। শুরুর দিকে অল্পস্বল্প চিকিৎসা নিয়েছিলেন—কখনো আত্মীয়-স্বজন, কখনো পথচারীদের সহানুভূতির টাকায়। হুইলচেয়ারে বসে রাস্তায় বসে থেকেছেন, মানুষের সহায়তায় কোনোভাবে টেনেছেন চিকিৎসার খরচ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই উপায়ও বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ তার অবস্থা এমন যে ওষুধ কেনা তো দূরের কথা, প্রতিদিনের ন্যূনতম খরচ চালানোও সম্ভব হচ্ছে না। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তিনি এখন দারিদ্র্যের অন্ধকারে ডুবে আছেন। নেই কোনো উপার্জন, নেই কোনো সঞ্চয়—অসহায়ত্বই তার একমাত্র সঙ্গী।
স্থানীয়দের মতে, জলফু মিয়ার পরিবার এখন করুণ বাস্তবতায় দিন কাটাচ্ছে। তারা বলছেন, “আমরা যতটুকু পারি সহযোগিতা করছি, কিন্তু চিকিৎসা ও জীবনধারণের ব্যয় বহনের মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। সমাজের সামর্থ্যবান মানুষ, দাতব্য প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারের সহযোগিতা ছাড়া তার আর বাঁচার উপায় নেই।”
একটি দুর্ঘটনা শুধু জলফু মিয়ার শরীরকেই পঙ্গু করেনি, তার পরিবারকেও নিঃস্ব করে দিয়েছে। এখন তিনি অপেক্ষায় আছেন—কেউ একজন এগিয়ে আসবে, হাত বাড়াবে, নতুন করে বাঁচার সুযোগ দেবে।
বিআলো/এফএইচএস