ছবি বা খেলনা থাকা ঘরে নামাজ আদায় করা যাবে কি?
বিআলো ডেস্ক: বাড়িতে ছবি, মূর্তি বা খেলনা রাখা নিয়ে অনেক মুসলমানের মনে প্রশ্ন জাগে— এসব জিনিস নামাজের ওপর প্রভাব ফেলে কি না, কিংবা আদৌ রাখা উচিত কি না।
ইসলামী শিক্ষায় জীবিত প্রাণীর (মানুষ ও পশু-পাখি) ছবি বা মূর্তি রাখা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কোরআন-হাদিসের বর্ণনায় স্পষ্টভাবে এসেছে, ফেরেশতারা এমন ঘরে প্রবেশ করেন না যেখানে প্রাণীর ছবি, মূর্তি বা কুকুর থাকে।
নবী করিম (সা.) বলেছেন—
“ফেরেশতারা সেই ঘরে প্রবেশ করেন না, যেখানে কুকুর বা ছবি থাকে।” (বুখারি: ৩০৫৩, মুসলিম: ২১০৬)
হজরত আয়েশা (রা.)-এর বর্ণনায়ও এসেছে, ফেরেশতাদের নেতা জিবরাইল (আ.) নবী (সা.)-কে বলেছেন, তিনি এমন ঘরে প্রবেশ করেন না যেখানে ছবি বা কুকুর রয়েছে। (মুসলিম: ২১০৪)
এ ছাড়া হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যারা ছবি বা মূর্তি তৈরি করে কিয়ামতের দিন তাদের বলা হবে, “তোমরা যা সৃষ্টি করেছ, এতে প্রাণ দাও।” (বুখারি)
উলামাদের মতামত—
উলামায়ে কেরাম বলেন, যেসব ছবি বা মূর্তি ফেরেশতাদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো হলো জীবিত প্রাণীর ছবি বা ত্রিমাত্রিক মূর্তি। তবে জরুরি প্রয়োজনে (যেমন পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের ছবি) রাখাতে কোনো সমস্যা নেই। নামাজের সময় এসব ঢেকে রাখা উত্তম।
খেলনা বা পুতুলের ব্যাপারে—
শিশুদের খেলার জন্য থাকা পুতুল বা খেলনা যদি প্রাণীর আকৃতিতে হয়, সেগুলো নিয়ে ফিকহবিদদের ভিন্নমত থাকলেও অনেকের মতে এগুলো শিশুদের প্রয়োজনে অনুমোদিত। তবে নামাজের জায়গায় সামনে না রেখে সরিয়ে রাখা বা ঢেকে রাখা উত্তম।
সারকথা হলো ঘরে জীবিত প্রাণীর ছবি, মূর্তি বা খেলনা থাকলে তা নামাজের মূল গ্রহণযোগ্যতায় প্রভাব ফেলে না, তবে ফেরেশতাদের রহমত ও ঘরের বরকতে বাধা হতে পারে। তাই নামাজের সময় এগুলো ঢেকে রাখা বা সরিয়ে রাখা শ্রেয়।
বিআলো/শিলি