দেশের কল্যাণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একসাথে কাজের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কল্যাণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি অডিটোরিয়ামে ইউনিসেফ ও ইউজিসি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন (এসবিসি) বিষয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা”-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া কমিশনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভীন এবং ইউনিসেফ-এর এসবিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. বদরুল হাসান বক্তব্য দেন।
দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসবিসি-অভিজ্ঞ শিক্ষকসহ মোট ৩৩ জন অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজ বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম আন্তরিক ও মেধাবী হলেও জুলাই আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর স্বার্থের চেয়ে শিক্ষকদের ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীবান্ধব করা এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার মাধ্যমে এ অবস্থা পরিবর্তন করতে হবে।
অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে-প্রফেসর তানজীমউদ্দিন খান: এসবিসি পাঠ্যক্রম প্রণয়নে দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করার পাশাপাশি ভার্চুয়াল সমাজের প্রভাব যুক্ত করা জরুরি।
প্রফেসর আনোয়ার হোসেন: এসবিসি প্রকল্পের মাধ্যমে রিসার্চ রিপোজিটরি ও ১২টি কোর্স কারিকুলাম তৈরি হয়েছে, যা গবেষণার সুযোগ বাড়িয়েছে।
প্রফেসর মাছুমা হাবিব: এসবিসি পাঠ্যক্রম সময়োপযোগী; বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমস্যার পাশাপাশি সমাধান কৌশল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
প্রফেসর আইয়ুব ইসলাম: স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশসহ উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন শাখায় এসবিসি কোর্স যুক্ত হওয়া জরুরি; বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ যেন প্রয়োজনে এসবিসি কারিকুলাম থেকে উপযোগী কোর্স বেছে নিতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, এসবিসি বিষয়ক পাঠ্যক্রম শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক উন্নয়ন ও কমিউনিটি এনগেজমেন্টকে কার্যকর করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
বিআলো/এফএইচএস