পাহাড়ে আবারও পুরোনো খেলা
প্রশাসনে স্বৈরাচারের দোসররা থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না
ভারতের আক্রমণের আশঙ্কা কেন ছড়ানো হচ্ছে : রিজভী
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: সেখানে ভারতীয় পতাকা উঠতো বহু বছর আগে থেকেই। কেবল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাঙালিদের পাহাড়ি এলাকায় পুনর্বাসিত করার পর সেখানে জনসংখ্যার মধ্যে একটা ব্যালান্স এসেছে, যার জন্য এখন আর তারা ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারছে না। এজন্য শহীদ জিয়াউর রহমান ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। তিনি বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষা করেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পতাকা সবসময় ঊর্ধ্বগামী রেখেছেন। সেই পাহাড়ে আবার পুরোনো খেলা শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নাই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে হাফিজ বলেন, যারা বলছে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, আমরা তাদের বলতে চাই, বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়। কারা নির্বাচন হতে দেবে না, ইনশাল্লাহ আমরা রাজপথে দেখতে চাই। বিএনপি এখনো বেঁচে আছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবে।
প্রশাসনে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের অপসারণ দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ যে এখনো নির্বাচনী ম্যাপের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না তার একটি কারণ বর্তমান প্রশাসন। এখানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বসে আছে, তাদের সরানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং তারা থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
পিআর প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে না, দেশের জনগণের এটা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। যারা পিআর নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদের বলবো, জনগণ যদি আপনাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয় তাহলে আপনারা এই ব্যবস্থা চালু করেন। আমরা মাথা পেতে নেব। কিন্তু পিআর গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। দেশের সর্ববৃহৎ দল রাজনৈতিক দল বিএনপি কখনই এটি সহ্য করবে না।
এদিন রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের পাহাড় ও তৈরি পোশাক শিল্প খাতে অশান্তির জন্য কোনো না কোনো চক্র জড়িত। তিনি বলেন, পাহাড়ে হঠাৎ করে অশান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এ সময়েই পোশাক খাতেও অশান্তির চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো চক্র জড়িত রয়েছে।
রিজভী বলেন, জামায়াতের এক নেতার বক্তব্য মানুষকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে। পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের আক্রমণ করতে পারে, যুদ্ধ হতে পারে-এ কথাগুলো কেন আসছে? এটা কি কোনো পাতানো বিষয়? আক্রমণের আশঙ্কা কেন ছড়ানো হচ্ছে? এটাও মানুষকে ভাবাচ্ছে যে, বিষয়টি কি পরিকল্পিত?
একইদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বর্তমানে জাতির কাছে ওয়াদা দিচ্ছে তারা ক্ষমতায় আসলে এই করবে সেই করবে। ১৯৭১ সালে তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে অস্ত্র ধরে বাঙালিদের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে। তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা চাইনি। আগে ক্ষমা চান। তারপরে কি করবেন না করবেন দেখা যাবে।
বিআলো/ইমরান