গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান নগন্য হলেও দেশীয় পর্যায়ে নির্গমন হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত “Pathways to Emission Reduction in Rice and Livestock Sectors in Bangladesh: Mitigation Marketplace and Workshop” শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ধান ও প্রাণিসম্পদ খাত বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির মূল ভিত্তি। তবে এ খাত থেকে নির্গত গ্যাস পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। জাবরকাটা প্রাণীর হজম প্রক্রিয়া ও মল ব্যবস্থাপনা থেকে উৎপন্ন মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড নির্গমনের প্রধান উৎস। গবাদিপশুর মধ্যে গরু সর্বাধিক নির্গমনের জন্য দায়ী, এরপর মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। বৈশ্বিক মানবসৃষ্ট মোট গ্রীনহাউস গ্যাসের প্রায় ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ আসে প্রাণিখাত থেকে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) গরুর মিথেন নির্গমন পরিমাপ ও তা হ্রাসে গবেষণা চালাচ্ছে। উন্নত মডেল, খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও উচ্চমানের খাদ্যের মাধ্যমে নির্গমন কমানোর উপায় খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফরিদা আখতার বলেন, উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের পশু পালনের ফলে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন সবুজ খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আধুনিক ধান চাষে অতিরিক্ত সার, কীটনাশক ও আগাছানাশক ব্যবহারের কারণে পশুখাদ্যের সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
কর্মশালার আলোচকরা বলেন, ধান, দুধ ও মাংসকে কম-কার্বন পণ্য হিসেবে উৎপাদন ও বাজারজাত করা গেলে আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি মূল্য পাওয়া সম্ভব। এতে কৃষকের আয় ও জীবনমান বৃদ্ধি পাবে। নির্গমন হ্রাস, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি।
বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম গবেষণা কেন্দ্র (সিমিট) এবং কনসালটেটিভ গ্রুপ অন ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (সিজিআইএআর)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচারাল স্পেশালিস্ট Son Than Vo। কী-নোট উপস্থাপন করেন সিমিটের সিনিয়র এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিস্ট টি. এস. আমজাহ বাবু। গেস্ট অব অনার ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের ডিভিশনাল ডিরেক্টর Jean Pesme।
বিআলো/এফএইচএস