লালমনিরহাটে জমি বিরোধে প্রতিপক্ষকে বারবার মামলায় জড়ানোর অভিযোগ
সজীব আলম, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার উত্তর গোবধা এলাকায় দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একই ব্যক্তিদের একের পর এক মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে নাশকতা মামলার আসামি হওয়ার পর ছাত্র আন্দোলনের সময়ও একই ব্যক্তিদের আবার ছাত্র হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর গোবধা এলাকার আব্দুল ছালাম ১৯৬২ সালের রেকর্ড ও দলিলমতে আছিয়া বেগমের নিকট থেকে ১৭৪ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু আছিয়া বেগমের ছেলে দলিল উদ্দিন জাল দলিল দেখিয়ে জমি দাবি করে মামলা করেন। নিম্ন আদালতে মামলা খারিজ হলে উচ্চ আদালতেও আপিলে খারিজ হয়। পরবর্তীতে ওই জমির ১০ শতক দখলমুক্ত করতে ছালাম আদালতে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেন।
এ নিয়ে বিরোধ চরমে উঠলে সম্প্রতি উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিরোধের জেরে দলিল উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম তার শয্যাশায়ী দাদিকে পানিতে ফেলে হত্যা করে প্রতিপক্ষ ছালামের পরিবারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। নিহত আছিয়া বেগমের সুরতহাল রিপোর্টেও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কিন্তু অভিযোগকারী পক্ষ ছালাম পরিবারের নামেই হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় নিহতের প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে শনিবার মানববন্ধন করে ছালাম পরিবার। তাদের অভিযোগ, জমি বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে একই ব্যক্তিদের বারবার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
ছালাম পরিবারের সদস্যরা জানান, গ্রাম্য শালিসে আগে থেকেই মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়েছিল। তারা আরও দাবি করেন, এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে শিবির ট্যাগে নাশকতার মামলায় তারা কারাভোগ করেছেন। এখন আবার জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভাটারা থানার ছাত্র হত্যা মামলাতেও তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আদিতমারী থানার ওসি আলী আকবর জানান, আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।
বিআলো/শিলি