ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিরল প্রজাতির ১৭ পাখি উদ্ধার, খোলা আকাশে অবমুক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৭টি বিরল ও সংরক্ষিত প্রজাতির পাখি উদ্ধার করে খোলা আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পরিচালিত এক যৌথ অভিযানে এই পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে অংশ নেন পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ‘তরী বাংলাদেশ’ এবং ‘স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ’-এর সদস্যরা। উদ্ধারকৃত পাখির মধ্যে ছিল ৫টি টিয়া, ৫ জোড়া মুনিয়া এবং ২টি দেশি শালিক। স্থানীয়ভাবে পাখিগুলো বিক্রির জন্য রেলস্টেশনে আনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। অভিযানে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
পাখিগুলো উদ্ধার করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে অফিস প্রাঙ্গণে পাখিগুলোকে খোলা আকাশে অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় ইউএনও বলেন, বন্যপ্রাণী আমাদের জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাখি বা অন্যান্য প্রাণীকে অবৈধভাবে ধরে বা বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসন, পরিবেশকর্মী ও সচেতন মানুষদের সমন্বয়ে আমরা এ ধরনের অবৈধ কাজ রোধে আরও কঠোর হবো।
উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, প্রকৃতি আমাদের জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিটি পাখিরও নিজস্ব জীবন আছে। এই পাখিগুলোকে খাঁচা থেকে মুক্ত করে আকাশে উড়তে দেখা আমাদের জন্য এক অনন্য অনুভূতি।
উদ্ধার ও অবমুক্তকরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশের সদস্য সোহেল রানা ভূঁইয়া ও সুশান্ত পাল, এবং স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের সদস্য তাহসিন আরাফাত তন্ময় ও মো. জুবাইদুর রহমান মেহেদী।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী, যে কোনো বন্যপাখিকে অবৈধভাবে আটক, বিক্রি বা পাচার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে।
বিআলো/এফএইচএস