সাঁথিয়ায় এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদে জনমনে ক্ষোভ
“আমাদের এসিল্যান্ড ঘুষ নেন না”_জনগণের কণ্ঠে নিন্দার ঝড়
স্বচ্ছতা ও সততার প্রতীক সাদিয়া সুলতানা ষড়যন্ত্রের শিকার
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক সাদিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন—সত্যনিষ্ঠ, নির্লোভী, পরোপকারী একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ গভীরভাবে দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
স্থানীয়রা জানান, একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নানা সময়ে প্রশাসকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে এবং মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করে। তবে সরেজমিনে এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের টি আর প্রকল্পে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা সম্পূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হয়েছে। প্রত্যেকটি কাজ সরেজমিন তদারকি করে বিল প্রদান করা হয়েছে বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। সাদিয়া সুলতানার প্রশাসনিক ভূমিকা ছিল কেবল কমিটি অনুমোদন করা, আর বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কোনো ঘাটতি ছিল না।
সাঁথিয়ায় যোগদানের পর থেকেই এসিল্যান্ড সাদিয়া সুলতানা ভূমি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূরীকরণে কঠোর ভূমিকা পালন করে আসছেন। জমির নামজারি থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবায় সাধারণ মানুষ যেন কোনো প্রকার অতিরিক্ত অর্থ না দেয়—সে ব্যাপারে তিনি সবসময় সরাসরি জনসাধারণকে তার টেবিলে বা ফোনে যোগাযোগের আহ্বান জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবু হোসেন বলেন, “আমার জমির নামজারি একদম নির্ধারিত সময়ে কোন ঘুষ ছাড়াই করে দিয়েছেন তিনি। তার সদালাপ আমাদের মুগ্ধ করেছে।”
একইভাবে গ্রামের হেলাল উদ্দিন জানান, “ভূমি অফিসে গেলেই তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করেন, কখনো ঘুষ দাবি করেননি।”
অভিযোগ উঠেছে, মাছ চুরির মামলার আসামি আশরাফ আলি এবং তার ঘনিষ্ঠরা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
এসি ল্যান্ড সাদিয়া সুলতানা বলেন, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে কিনতে না পেরে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, রমজান মাসে টাউন লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির সমস্ত অর্থই সঠিকভাবে ব্যয় হয়েছে। লিনিকের সদস্যদের জন্য খাবার সরবরাহসহ এর যথাযথ প্রমাণও সংরক্ষিত আছে।
খাস জমির বন্দোবস্ত থেকে শুরু করে ভূমি উন্নয়ন কর ও হোল্ডিং অনুমোদন কার্যক্রম পর্যন্ত সব কিছুতেই সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে। কোনো অনিয়ম পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শোকজ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিআলো /তুরাগ