স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ পেয়েছেন সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন
মফস্বল থেকে রাজধানীর সম্মানমঞ্চে—দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে এলেন বাগেরহাটের এই তরুণ সাংবাদিক
নিজস্ব প্রতিবেদক: সত্যের পথে নির্ভীক পদচারণা ও সমাজের জন্য নিবেদিত মনোভাবই তাঁকে এনে দিয়েছে এক অনন্য স্বীকৃতি। সাংবাদিকতা, সংস্কৃতি ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তরুণ মেধাবী সাংবাদিক মো. ইসমাইল হোসেন অর্জন করেছেন মর্যাদাপূর্ণ “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫”।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা অডিটোরিয়ামে স্টার বাংলাদেশ মিডিয়া আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি ছিল রঙিন আলোকসজ্জা, তারকাখচিত উপস্থিতি ও প্রাণবন্ত পরিবেশে ভরপুর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুজাতা আজিম। প্রধান আলোচক ছিলেন এটিএন বাংলার উপদেষ্টা তাশিক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্য পরিচালক ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্ব জ্যাম্বস কাজল প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান।
দেশের বিভিন্ন খাতে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ মোট ৩০ জন গুণীজনকে দেওয়া হয় এই সম্মাননা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাগেরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন। তিনি ইতোমধ্যে আনন্দ টেলিভিশন, ভোরের পাতা, মানবজমিন ও এসএ টেলিভিশনসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন, যা তাঁকে তরুণ সাংবাদিকদের অনুকরণীয় উদাহরণে পরিণত করেছে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ইসমাইল হোসেন বলেন, “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড শুধু সম্মান নয়— এটি আমার সাংবাদিকতার পথে এগিয়ে চলার এক নতুন প্রেরণা। সত্যকে তুলে ধরা, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা এবং সমাজকে আলোর পথে এগিয়ে নেওয়াই আমার লক্ষ্য। এই স্বীকৃতি আমাকে আরও দায়িত্বশীল ও সাহসী করে তুলবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি শুধু সাংবাদিক নয়, একজন সমাজকর্মী হিসেবেও কাজ করতে চাই। আমার সামাজিক সংগঠন ‘দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা’ অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে কাজ করছে। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই— আমি যেন আমৃত্যু এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা বলেন, ইসমাইল হোসেনের মতো তরুণরা সাংবাদিকতা ও সমাজসেবার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রদূত হয়ে উঠছেন। তাঁদের নিষ্ঠা, মানবিকতা ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে নতুন আলোর পথে।
বিআলো/তুরাগ