কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতা
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: কাতারের উদ্যোগে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় দুই দেশের প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি হন। আলোচনায় কাতারের পাশাপাশি মধ্যস্থতার দায়িত্বে ছিল তুরস্কও।
কাতারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি যেন টিকে থাকে, সেজন্য ভবিষ্যতে দুই দেশ ফলোআপ বৈঠক করবে।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সাম্প্রতিক দুই সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরাসরি সংঘর্ষ ঘটে। এতে কয়েকশ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দোহা আলোচনায় আফগানিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব, আর পাকিস্তানের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
এর আগে সীমান্ত উত্তেজনা চরমে ওঠে যখন পাকিস্তান অভিযোগ তোলে যে, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আফগান বাহিনী সীমান্তে হামলা চালায়, যা বড় আকারের সংঘর্ষে রূপ নেয়।
গত সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই পাকিস্তানের বিমান হামলায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তখন দাবি করেছিলেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু একই সময় পাকিস্তান হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে অভিযোগ।
আফগানিস্তান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় বা সহায়তা দেয় না। তবে গত শুক্রবার আফগান সীমান্তের কাছাকাছি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় টিটিপি (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সাত সেনা নিহত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। সূত্র: রয়টার্স
বিআলো/শিলি



