সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইন সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ কর্মশালা
বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভাবমূর্তি রক্ষায় দূতাবাস, কনসুলেট ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগ
মোশাররফ হোসেন (সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে)
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ইউএই মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড এমিরেটাইজেশন ও বাংলাদেশ মিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রবাসীদের আইন মেনে চলা, সাইবার নিরাপত্তা, ট্রাফিক বিধি ও সামাজিক আচরণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জানান, সম্প্রতি ইউএই শ্রমমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশিদের আইন লঙ্ঘন সংক্রান্ত নানা বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। তিনি বলেন, “শুধু শ্রমজীবীরা নয়, অনেক ক্ষেত্রে মালিক পক্ষও আইন ভঙ্গ করেন। তাই উভয় পক্ষেরই আইন সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।”
প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সমিতি ফুজাইরা-এর আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি এবং বাংলাদেশ কনসুলেট দুবাই।
কর্মশালায় আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফুজাইরা পুলিশ, সিআইডি ও সাইবার ক্রাইম বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়ে তথ্যবহুল ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— কমিউনিটি প্রোটেকশন অ্যান্ড প্রিভেনশন ডিপার্টমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ সাঈদ আল হাশিমি, মেজর ফাতিমা হামাদ আল ইয়ামাহি, সিআইডি ও সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের লেফটেন্যান্ট হামাদ মোহাম্মদ বিন নাইয়া আল তুনাইজি, এবং ট্রাফিক ও লাইসেন্স বিভাগের প্রথম সহকারী ড. ইয়াসের রশিদ আল হেফেইতিসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সমিতি ফুজাইরার সভাপতি কফিল উদ্দিন বেলাল। প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ। সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ পারভেজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল নূর-এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।
এছাড়াও কর্মশালায় অংশ নেন বাংলাদেশ সমিতি ফুজাইরা ও বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএই-এর নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রবাসীরা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন—সাইবার অপরাধ থেকে সুরক্ষা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতা, ট্রাফিক আইন মানা এবং আমিরাতের আইন-কানুন অনুসরণে এই কর্মশালা প্রবাসীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপনের পথ আরও সুগম করবে। স্থানীয় প্রবাসীরাও এমন উদ্যোগকে “অত্যন্ত প্রশংসনীয়” বলে অভিহিত করেছেন।
বিআলো/তুরাগ



