ন্যাটো নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে জনগণকে প্রস্তুত রাখার আহ্বান সুইডিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: সুইডিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল জনসন বলেছেন, ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত মোকাবিলায় মানসিক ও সামরিক উভয়ভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, শুধু অস্ত্রই নয়- মানসিকতাও বদলাতে হবে যাতে শান্তি রক্ষা ও প্রতিরক্ষা কার্যক্রম দ্রুত ও কার্যকরীভাবে পরিচালিত হতে পারে।
সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল জনসন রোববার RND‑কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “শান্তি ধরে রাখার জন্য আমাদের যুদ্ধের সম্ভাবনার জন্য মানসিক এবং সামরিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা, প্রতিরক্ষা ও সংরক্ষণের কাজের জন্য আমাদের যুদ্ধের মুডে যেতে হবে।” তি
নি এটি কেবল রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নয়, জনগণের মনোভাব ও প্রস্তুতির বিষয়ও- যা ভবিষ্যতে নিরাপত্তা নীতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপত্তা গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে এবং ব্রাসেলস রুশ প্রভাবকে একটি সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে; অন্যদিকে মস্কো এই দৃষ্টিভঙ্গিকে ইউরোপীয় অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভ্রান্তি হিসেবে নস্যাৎ করে।
জনসন আরও বলেছেন, ইউরোপের অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম বা উৎপাদন নেই, তাই আয়াতকালে অতিদ্রুত সহায়তার জন্য মার্কিন অস্ত্র সংগ্রহ করা যুক্তিযুক্ত হতে পারে- একই সঙ্গে এই ধরনের ক্রয় ইউক্রেনের প্রয়োজনে কাজে লাগবে।
এই প্রেক্ষাপটে, ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি প্রকাশিত রোডম্যাপে ২০২৭ সালের মধ্যে যৌথ অস্ত্র ক্রয় অন্তত ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা তুলে ধরেছে- ‘আরও বিনিয়োগ’, ‘একসঙ্গে বিনিয়োগ’ এবং ‘ইউরোপীয় বিনিয়োগ’কে গুরুত্ব দিয়ে।
বিশ্লেষকরা মনে করান যে, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাতকে ন্যাটোর সম্প্রসারণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখে- যা দীর্ঘমেয়াদে ইউরোপীয় নিরাপত্তা কাঠামোতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। জনসনের মন্তব্য ও কমিশনের রোডম্যাপ একই লাইনকে শক্তিশালী করে- নিরাপত্তা নীতিতে দ্রুত বাস্তব ও মানসিক রূপান্তরের প্রস্তাবনা আনছে। সূত্র: RND
বিআলো/শিলি



