আজকের শিশু, আগামীকের সুস্থ নাগরিক: মুহম্মদ হিরুজ্জামান
জহিরুল ইসলাম মিশু, সিলেট: ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত যে কোনো সংক্রামক রোগ শিশুদের উপর দীর্ঘমেয়াদী বা স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে, এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। এসব রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টিকা গ্রহণের মাধ্যমে আজকের শিশু হবে আগামীকালের সুস্থ নাগরিক।
এই মন্তব্য করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহম্মদ হিরুজ্জামান। তিনি বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিভাগীয় পর্যায়ের পরামর্শমূলক কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক হিরুজ্জামান বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা সহজেই জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেন এবং তাদের বক্তব্য ও লেখার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তাই টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে, গুজব ও অপতথ্য মোকাবেলায় গণমাধ্যমকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালার প্রধান অতিথি, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব শিশু-কিশোরদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের একটি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সাংবাদিকরা গুজব মোকাবেলা ও ইতিবাচক সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে এই উদ্যোগকে সফল করতে পারবেন।
কর্মশালায় অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন এবং ইউনিসেফের সিলেট অঞ্চলের প্রধান কাজী দিল আফরোজ ইসলাম। এছাড়া জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, সিলেট জেলা তথ্য অফিস, আঞ্চলিক তথ্য অফিস ও বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।
উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকরা টাইফয়েড টিকা নিয়ে গুজব প্রতিরোধে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ে ৬৭.০২ শতাংশ শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগের স্কুল পর্যায়ে ৫৭ শতাংশ শিশু এবং স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায় মিলিয়ে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ শতাংশ শিশুকে ইতিমধ্যে টিকা প্রদান করা হয়েছে। সিলেট বিভাগে মোট প্রায় ৩০ লাখ শিশুকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিআলো/শিলি



