বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়াকে মাদকমুক্ত আধুনিক জনপদ গড়ব: ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী এই সিনিয়র আইনজীবী বললেন—সুশাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়েই আসবে পরিবর্তন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতির উত্তাল সময়, মানুষ চায় শান্তি ও সুশাসন। এমন বাস্তবতায় কুমিল্লা–৫ (বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জনগণের সামনে হাজির হয়েছেন এক নতুন বার্তা নিয়ে — “বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়াকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত একটি আধুনিক, জনবান্ধব অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা আমার অন্যতম অঙ্গীকার।”
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কুমিল্লা–৫ আসনকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা তাঁর প্রধান প্রতিশ্রুতি। তিনি বলেন, “আমি চাই আমার নির্বাচনী এলাকা হবে দূর্নীতি, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি মুক্ত একটি উন্নত জনপদ। জনগণের সহায়তায় ইনশা আল্লাহ এটি বাস্তবায়ন সম্ভব।”
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিবিসি বাংলায় প্রচারিত ষোলো বছর পর প্রথম জনসমক্ষে বক্তৃতার মূল্যায়ন করে ব্যারিস্টার মামুন বলেন, “দেশনায়ক তারেক রহমানের এই বক্তৃতাটি দেশে ও প্রবাসে সর্বস্তরের বাংলাদেশিদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও অনুপ্রেরণাদায়ী। এটি বিএনপির সকল নেতা-কর্মীর জন্য এক ঐতিহাসিক দিকনির্দেশনা।”
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী দিনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এই ৩১ দফার আলোকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানান ব্যারিস্টার মামুন।
কুমিল্লা–৫ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেন, “আমিই বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাব ইনশা আল্লাহ। এরপর জনগণের সমর্থনে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে দেশনায়ক তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়নে এবং আমার নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমি কাজ করবো। আমার রয়েছে একটি মেগা উন্নয়ন পরিকল্পনা।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী এলাকার সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়াকে মাদকমুক্ত করবেন। পাশাপাশি পথভ্রষ্ট যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করে তাদের জন্য সুস্থ জীবন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
ব্যারিস্টার মামুন তাঁর এলাকার উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচি উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে —
১. সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা,
২. শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি,
৩. নাগরিক অবকাঠামো ও সেবা সম্প্রসারণ,
৪. স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ,
৫. অর্থনীতি ও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন,
৬. নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ নাগরিক সুবিধা,
৭. অনগ্রসর ও স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন,
৮. কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনে উদ্যোগ গ্রহণ, এবং
৯. দলের কমিটি গঠনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন ও কমিটি বাণিজ্য বন্ধ।
দেশের আইন অঙ্গনে ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও মানবতার প্রতীক হিসেবে খ্যাত ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, “জনসেবা আমার দর্শন, আর এলাকার উন্নয়ন আমার দায়িত্ব। বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায় এবং আমি জনগণের সমর্থনে সংসদ সদস্য হই, তবে আমার এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন অনেক সহজ হবে।”
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “দেশ এখন এক সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের পছন্দের দলকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।”
শেষে তিনি তাঁর এলাকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই সংকটময় সময়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আপনারা যদি আমাকে যোগ্য প্রার্থী মনে করেন, তবে একসাথে আমরা বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়াকে সন্ত্রাস ও মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
বিআলো/তুরাগ



