অপরাধ নির্মূল পুলিশের নিয়মিত রুটিন: উপ-পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম

অপরাধ নির্মূল পুলিশের নিয়মিত রুটিন: উপ-পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম

মেহেদী হাসান: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অপরাধ নির্মূল-নিয়ন্ত্রণ পুলিশের নিয়মিত কাজ বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম। ২১তম বিসিএসে তিনি পুলিশ ক্যাডারে এ বাহিনীতে যোগ দেন। তার প্রথম কর্মস্থল ছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। পরে তিনি পুলিশের বিশেষ শাখার ইমিগ্রেশন বিভাগ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সার্কেলের এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এসপি পদমর্যাদা হিসেবে ২০১৫ সালে প্রথম  যোগদান করেন ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিসি মিডিয়া  (উপ-পুলিশ কমিশনার) হিসেবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির সেরা বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে লালবাগকে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ইতিমধ্যে পুলিশের লালবাগ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত সকল থানা এলাকাতেই পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে নানাবিধ অপরাধ কর্মকা-।

এক সময়ের পুরান ঢাকার নবাবপুর, তাঁতিবাজার, সিদ্দিক বাজার, আলুবাজার ছিল একটি ছিনতাই প্রবন এলাকা। আর বর্তমানে এই সব এলাকায় ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধ নেই বললেই চলে। ছিনতাই ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে এই এলাকাগুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ক্রস পেট্রলিং ও ব্লক রেইড পদ্ধতি। যেখানে প্রতিটি পুলিশের টিমে একজন সিনিয়র অফিসার দারা নিয়ন্ত্রণ হয় অভিযানিক টিম।

এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমান বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশের আলোর এক সাক্ষাৎকারে উপ-পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, লালবাগ বিভাগের প্রতিটি এলাকায় যেখানেই কোনো অপরাধের সন্ধান আসছে তখনই সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোনো অপরাধ কর্মকা- ঘটলেই সেই বিষয়ে মামলা নেয়া হচ্ছে এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পুলিশের লালবাগ বিভাগের প্রতিটি থানা এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে স্থানীয়দের। অনুসন্ধানে জানা যায়, একসময়ে নগরীর লালবাগ বিভাগের বেশির ভাগ এলাকার সড়ক ছিল হকারদের দখলে। প্রতিনিয়তই যানজট লেগেই থাকতো প্রধান সড়কগুলোতে। কিন্তু বর্তমানে এই এলাকার চিত্রগুলো ভিন্ন রূপ নিয়েছে।

এ বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, তিনি লালবাগ বিভাগে যোগদান করার পর সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিটি এলাকায় হকার মুক্ত করা। আর সেই চ্যালেঞ্জে পুলিশ সফল হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও এলাকায় অপরাধ প্রবণতা কমাতে নিয়মিত পুলিশের চলছে উঠান বৈঠক। পুলিশের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, তার বিভাগে অপরাধের কোনো ঠাঁই নেই। অপরাধী যদি পুলিশ সদস্যও হন তাকেও তিনি আইনের আওতায় আনেন। তিনি জানান, সম্প্রতি সদরঘাট এলাকায় এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আসে লালবাগ থানার এএসআই সাজ্জাদ হোসেন মামুনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রমাণিত হয়ায় তার সহায়তাই ওই পুলিশ সদস্যের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায়। এছাড়াও তার অপরাধের বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। অপরাধ যেই করবেন তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে বলেও জানান তিনি।