আত্রাইয়ে উদ্বোধনের ৯ মাস পরও চালু হয়নি উপজেলা মডেল মসজিদ
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় উদ্বোধনের ৯ মাস পার হলেওকার্যক্রম শুরু হয়নি উপজেলা মডেল মসজিদের। লোক দেখানো উদ্বোধনের পরও মসজিদটিতে নামাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয় মুসল্লীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ইমাম–মুয়াজ্জিন নিয়োগ না হওয়ায় আবেদনকারীরাও পড়েছেন চরম হতাশায়।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার পূর্বে আত্রাই হেলিপ্যাড সংলগ্ন সাহেবগঞ্জ কেন্দ্রীয় গোরস্থানের পাশে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এ মডেল মসজিদ। এলাকাটির চারদিকে আধা কিলোমিটারের মধ্যে অন্য কোনো মসজিদ না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা নতুন মসজিদটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী ছিলেন।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছ থেকে পুরোপুরি হস্তান্তর না হওয়া সত্ত্বেও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মসজিদটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুততার সঙ্গে ইমাম–মুয়াজ্জিন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে অনেকে আগ্রহী হয়েও আবেদন করতে পারেননি। যারা আবেদন করেছিলেন, দীর্ঘ ৯ মাসেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় তারা আজ হতাশ।
এছাড়া মসজিদের পরিচালনা কমিটি নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যাদের জমি দান বা অন্যান্য অবদান রয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে ইউএনওর পছন্দনীয় ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
সাহেবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, “মসজিদ নির্মাণে যাদের অবদান রয়েছে তাদের বাদ দিয়ে যাদের কোনো ভূমিকা নেই তারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এতে আমরা হতাশ হয়েছি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আত্রাই উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার আকবর হোসেন জানান, “ঠিকাদারের কাছ থেকে মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর না হতেই উদ্বোধন করা হয়েছে। কিছু কাজ বাকি থাকায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।
ইমাম পদে আবেদনকারী মাওলানা আব্রারুল হক বলেন, “অনেক দিন আগে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি। এতে আমরা নিরাশ হয়ে পড়েছি।
আত্রাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমার কাছে সঠিক তথ্য নেই। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যাবে মসজিদটি চালুতে দেরি হওয়ার কারণ।
বিআলো/ইমরান



