আহসান মাস্টার এম পি’র শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের দোয়া

আহসান মাস্টার এম পি’র শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের দোয়া

মোঃ আল আমিন হোসেন, (টঙ্গী) গাজিপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের টঙ্গীতে ভাওয়াল বীর, প্রয়াত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ্ধসঢ়; মাস্টারের ১৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ,অসহায় ও রোজাদার মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছে ছাত্রলীগ। গতকাল সোমবার টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ্ধসঢ়; মাস্টারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং দোয়া শেষে প্রায় এক হাজার মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুজনের সভাপতিত্বে ইফতার বিতরণ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলি, গাজীপুর মহানগর কৃষকলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা কমিশনার হামিদা বেগম,গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি জাহিদুল কবীর আনোয়ার, ৪৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন, ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক মনির হোসেন সাগর, আমীর হামজা, জসিম উদ্দিন শান্ত, জহির রায়হান, খোরশেদ আলম,ওসমান মাহমুদ,মনির হোসেন জীবন, জাহাঙ্গীর আলম। টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান কানন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সরকার বাবু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির বাপ্পি, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জামান খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সুজন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মীসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পরে ২০০৫ সালের ১৬ মে এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামীদের ডেথ রেফারেন্স , জেল আপীল ও আবেদনের শুনাণি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেয়। বিচার চলাকালে ২জন আসামী মারা যাওয়ায় তাদের আপীল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামীর আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখেন।