ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কমিশন নিয়ে আপত্তি

ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কমিশন নিয়ে আপত্তি

জেলা প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের আসন্ন নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে আপত্তি উঠেছে।

রোববার সমিতির নির্বাহী পরিষদের সভায় সংখ্যা গরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এ কমিশন গঠন করা হয়। তবে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে 'নোট অফ ডিসেন্ট' (ভিন্নমত) দিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ পাঁচ সদস্য।

জানা যায়, গত ৬ ডিসেম্বর সমিতির নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেন সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি জামায়াত পন্থী শিক্ষকরা। তবে সভাপতিসহ সংখ্যা গরিষ্ঠরা করোনা মহামারির কারণে নির্বাচন না দেওয়ার পক্ষে মত দেন। ফলে ১৫ ডিসেম্বর কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।পুনরায় নির্বাচন করার উদ্দেশে গত ১৩ জানুয়ারি সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্যরা ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারায় সভা মুলতবি করে রোববার দিন নির্ধারণ করা হয়। রোববার সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাবনা ওঠে।

এতে সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি-জামায়াতপন্থি পাঁচ সদস্য ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা অবস্থায় নির্বাচন করার বিপক্ষে মত দেন। তবে বাকি দশজন সদস্য নির্বাচনের পক্ষে মত দেওয়ায় তিন সদস্যের কমিশন গঠন করেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেন।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কে এম আব্দুস সোবহান, স্ক্রুটিনিয়ার একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান।

নোট অফ ডিসেন্ট দেওয়ার বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর বাধ্যতামূলকভাবে নির্বাচন করতে হবে। তাই মিটিং করতে হতো গত ১ বা ২ ডিসেম্বর। সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে আমরা পাঁচজন সদস্য নোট অফ ডিসেন্ট দিয়েছি।'

এ বিষয়ে সভাপতি অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেন বলেন, 'ওই পাঁচজন চেয়েছিলেন, সাধারণ সভা দিয়ে ও ক্যাম্পাস খোলার পর নির্বাচন দিতে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ ১০ জনের মতামত ছিলো নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। তাই আমি গণতান্ত্রিক পন্থায় তাদের মতামত মেনে নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি।'

বি আলো / মুন্নী