ইসরাইলি সংসদে সন্ত্রাসীদের মৃত্যুদণ্ডের বিল পাস
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসরাইলি সংসদ ‘সন্ত্রাসীদের মৃত্যুদণ্ডের’ প্রস্তাব করে একটি বিতর্কিত বিল পাস করেছে। এই বিলটি কার্যকর হলে ফিলিস্তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড আরোপের পথ খুলে যাবে—যা দেশটির বিচার ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গিভির–এর দাবিতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির অনুমোদনে বিলটি সোমবার সংসদে ভোটে পাস হয়। এখন আইন হিসেবে কার্যকর হতে এটি দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা ভোটে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভোটটি অনুষ্ঠিত হয় গাজা যুদ্ধের মধ্যে, যখন ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন আলোচনাও চলছে।
ইসরাইলে বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড কেবল কিছু সীমিত অপরাধের ক্ষেত্রে বিদ্যমান থাকলেও, দেশটি বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরেই মৃত্যুদণ্ডবিরোধী নীতি অনুসরণ করছে। সর্বশেষ ১৯৬২ সালে নাজি যুদ্ধাপরাধী আডলফ আইখম্যান–কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বেন গিভির এর আগে হুমকি দিয়েছিলেন—যদি বিলটি সংসদে উপস্থাপন না করা হয়, তাহলে তাঁর ‘ইহুদি শক্তি’ (Jewish Power) দল শাসক জোট থেকে বেরিয়ে যাবে।
বিলটির ব্যাখ্যামূলক নোটে বলা হয়েছে, এর মূল লক্ষ্য হলো “সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা।”
অন্যদিকে, এই বিলের তীব্র সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনি পক্ষ।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, “প্রস্তাবিত আইনটি দুর্বৃত্ত ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের ফ্যাসিবাদী মুখের প্রতিচ্ছবি এবং আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।”
রামাল্লা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই পদক্ষেপকে “ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি চরমপন্থা ও অপরাধ বৃদ্ধির নতুন রূপ” বলে অভিহিত করেছে।
বিআলো/এফএইচএস



