ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১২, আহত ২৭
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে জেলা আদালতের বাইরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, হামলাকারী আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তবে নিরাপত্তা তল্লাশির কারণে ভেতরে ঢুকতে ব্যর্থ হয়। পরে আদালতের গেটের কাছে একটি পুলিশ গাড়ির পাশে বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটায় সে।
নাকভি বলেন, “বোমারু ও তার সহযোগীদের সনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার করা হবে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলার জন্য “ভারতের সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে” দায়ী করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারতের সন্ত্রাসী প্রক্সিদের মাধ্যমে পাকিস্তানের নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর হামলা নিন্দনীয়।”
তবে ভারতের সরকার এই অভিযোগকে “অমূলক ও ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-এর ভিন্নধর্মী একটি শাখা জমাতুল আহরার হামলার দায় স্বীকার করেছে। যদিও টিটিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্থানীয় সাংবাদিকদের বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছে, তাদের এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা বিরল। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিটে (স্থানীয় সময়) বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, একটি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে এবং পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এক প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী এএফপি-কে বলেন, “আমি গাড়ি পার্ক করছিলাম, হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনি। মুহূর্তেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ দৌড়ে আদালতের ভেতরে আশ্রয় নিচ্ছিলেন। আমি গেটের সামনে দু’টি মরদেহ দেখেছি, কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যাচ্ছিল।”
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি
বিআলো/শিলি



