ইসলামের আলোকে পরিচ্ছন্নতা ও বাহ্যিক সৌন্দর্যের চর্চা
বিআলো ডেস্ক: ইসলাম মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্যবোধকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং শালীনতা ও পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে উৎসাহিত করেছে। বাহ্যিক সৌন্দর্যকে অহংকার নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা হিসেবে দেখার শিক্ষা দিয়েছে ইসলাম।
মানুষ স্বভাবতই সৌন্দর্যপ্রিয়। পরিচ্ছন্নতা, পরিপাটি পোশাক ও মার্জিত আচরণ মানুষকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। ইসলাম এই স্বাভাবিক প্রবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করেনি; বরং তা শালীনতার গণ্ডির মধ্যে লালন করতে বলেছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।’ (সহি মুসলিম)
পবিত্র কুরআনে নামাজের সময় পরিপাটি পোশাক পরিধানের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘হে আদম সন্তান! প্রত্যেক সালাতের সময় সুন্দর পোশাক গ্রহণ করো।’ (সূরা আরাফ: ৩১)
নবীজি (সা.) নিজে ছিলেন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল। তিনি সাহাবিদেরও জীর্ণ ও অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে বলতেন। সম্পদ থাকা সত্ত্বেও অবহেলা করে কমদামি পোশাক পরলে তা আল্লাহর নেয়ামতের অবমূল্যায়ন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
নতুন ও পরিষ্কার পোশাক পরিধানে তিনি উৎসাহ দিয়েছেন। সুগন্ধি ব্যবহার, চোখে সুরমা দেওয়া, চুল আঁচড়ানো, দাড়ি ও চুলে রং লাগানো সব ক্ষেত্রেই ছিল তাঁর পরিমিত ও মার্জিত চর্চা। রুপার আংটি ব্যবহার করলেও পুরুষের জন্য স্বর্ণ নিষিদ্ধ থাকার বিষয়টি তিনি কঠোরভাবে মেনে চলেছেন।
ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কে সামর্থ্যের মধ্যে পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকতে উৎসাহ দেয়, তবে অপচয়, অহংকার ও অশ্লীলতাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে। বাহ্যিক সৌন্দর্য তখনই প্রশংসনীয়, যখন তা বিনয় ও তাকওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়।
বিআলো/শিলি



