কোন অপশক্তি আমার আদর্শ থেকে সরাতে পারবে না: কাউন্সিলর সিরাজুল

কোন অপশক্তি আমার আদর্শ থেকে সরাতে পারবে না: কাউন্সিলর সিরাজুল

সুমন সরদার : হাইব্রিড আর অনুপ্রবেশকারীরা কোন দিন আমাকে আমার আদর্শ থেকে সরাতে পারবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএম সিরাজুল ইসলাম। শুদ্ধি অভিযান আর কাউন্সিলরকে সামনে রেখে ত্যাগী ও নিবেদিত নেতা কর্মীদের থেকে ভিন্ন দিকে দৃষ্টি সরাতে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রবীণ এ আওয়ামী লীগ নেতা। অভিমানের সুরে বলেন, সামাজিক ও  রাজনৈতিক অন্যায় রোধ করতেই আমার রাজনীতিতে আসা। আজ আমাকে নিয়েই কোন মহল মেতে উঠেছে অপরাজনীতিতে।  কাউন্সিলর হয়েছি মাত্র কয়েক বছর কিন্তু এই এলাকায় আমি ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। দীর্ঘ সময় ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে ১৩ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। জন সাধারণের অধিকার রক্ষা ও অনাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলতেই রাজনীতি শুরু করি। তখন থেকে ভূমি দস্যু ছাড়া সকলের প্রিয় হয়ে ওঠি আমি। 
বিএম সিরাজুল ইসলাম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে তার এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করেছেন। জলাবদ্ধতা দূরীকরণেও সফলতার সাথে কয়েকটি কাজ শেষ করেছেন আর কয়েকটি কাজ চলামান আছে। ঘনবসতিপূর্ণ তার এলাকায় রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রায় ত্রিশটি বিদ্যালয়। এসকল বিদ্যালয়ের পাঠদানের ব্যাপারে সব সময় তদারকি করে থাকেন তিনি। কয়েকটি কাচা রাস্তার কাজ রয়েছে চলমান অবস্থায়।

৬ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, কাউন্সিলর বিএম সিরাজুল ইসলাম অন্য কাউন্সিলরদের মধ্যে নানা কারণে অন্যতম একজন মানুষ। কোন সত্য কাজে কোনদিন কারো কাছে মাথা নত করতে দেখিনি তাকে। যে কোন সমস্যা নিয়ে উনার কাছে আসলে সঠিক সমাধান দিয়ে থাকেন তিনি। গরিব বাচ্চাদের লেখা পড়া করার সুযোগ করে দেয়াসহ অনেকের শিক্ষা ব্যয়ও বহন করে থাকেন তিনি।  

মনির হোসেন নামের আরেক স্থায়ী বাসিন্দা  বলেন, আমাদের  এলাকাটিতে নি¤œবিত্তের মানুষের বসবাস ছিল বেশি। একটা সময় অতিরিক্ত মানুষ  আর ময়লা-আবর্জনায় ভরা রাস্তা ছিল। বিএম সিরাজুল ইসলাম ভাই কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এই এলাকায় যত উন্নয়ন সব তার নিজের নেতৃত্বে হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় কিছু হাইব্রিড ও বহিরাগত নেতা উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডবাসী ঘৃণাভরে তা প্রত্যাক্ষান করেছি।  

বর্তমান ৬ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক ২৯ নম্বর  ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মশু বলেন, আমি এবং কাউন্সিলর একসাথে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি, কোন অন্যায় আর অনিয়মের কাছে আমরা মাথা নত করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে শুদ্ধি অভিযান আর অপুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে হুশিযারী দিয়েছেন তাকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রকৃত আওযামী লীগ নেতারা এখন কোণঠাসা হয়ে আছেন। ত্যাগী নেতাদের  মূল্যায়ন ফিরিয়ে আনতে এ রকম অভিযান প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে দরকার। কাউন্সিলর বিএম সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুচক্রী মহল কেন প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে জানতে চাইলে বিএম সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশের আলোকে বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে রাজনীতি করে বিনিময়ে কোন দিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কোন সুবিধা নেইনি। অবৈধ শতকোটি টাকার প্রস্তাব নাকোচ করেছি। কোন লোভ টলাতে পারেনি আমাকে। 

৫০০ শয্যার মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জায়গাটি ভূমি দস্যুদের দখলে ছিল। আমাদের প্রিয় নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর সহযোগিতায় তাদের উচ্ছেদ করে এ হাসপাতাল নির্মাণের জায়গা করি আমি। মুগাধা থানার ভবনটি যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে সেই জায়গাটিও ছিল দখলদারদের  কবলে। এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে সেই জায়গাটিও দখলমুক্ত করি আমি। সততা, নিষ্ঠার আদর্শকে সামনে রেখে নিপীড়ন নির্যাতন সহ্য করে আমি সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে সাহায্য করি। ডিবিডিসির সাব স্টেশন, পানির পাম্প , থানা ভবনের এ জায়গাগুলো বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাদক সেবন আর জুয়া খেলার আস্তানা হিসাবে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছিল। পরিবার পরিজন আর নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভূমি দস্যুদের হটিয়ে দেই। উদ্ধারকৃত জায়গায় আজ এসব স্থাপনা। আসলে আমার শত্রু মূলত তারাই যারা বিভিন্ন জায়গাগুলোর অবৈধ দখলদার ছিল। আমি সৎ ও নির্ভিক তাই আমার ক্ষতি করার সুযোগ কখনও পায়নি। নিজেদের অপরাধের চিত্র ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট  গল্প তৈরি করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভেবেছে আমি ভয় পাব। 

আমার হারানোর কিছুই নেই জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমি বেঁচে থাকতে কোন দিন অন্যায়ের সাথে আপোষ করবো না। সকল ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের  হুশিয়ার করে বলেন,  যে কোন প্রকার অপশক্তিকে রোধ করার জন্য আমি সব সময় প্রস্তুত। আমাকে আমার আদর্শ থেকে কখনও সরানো যাবে না। নিবেদিত আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনায় ফেলে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে স্বার্থান্বেষী মহলের তৎতপরতা রুখে দিবে প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ।