করোনায় চট্টগ্রামে মৃত্যু চার, শনাক্ত ১৫৫

করোনায় চট্টগ্রামে মৃত্যু চার, শনাক্ত ১৫৫

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের করোনার খবর বলতে গেলে শুরুতেই শনাক্তের সংখ্যা ওঠা-নামার কথা বলতে হয়। মাঝে মাঝে করোনা শনাক্তের সংখ্যা কমার খবর মিললেও, আবার দু’এক দিনের মধ্যেই তা বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাল্লা দিয়ে ওঠা-নামা করছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১৫৫ জন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১২০ জন নগরের ও ৩৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ পর্যন্ত শনাক্ত ৫০ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৪০ হাজার ৬৬৯ জন নগরের ও ১০ হাজার ১০৬ জন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম নগরে ২ জন ও উপজেলা পর্যায়ে ২ জন করোনায় মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ৫৪৯ জন। এর মধ্যে ৪০৬ জন নগরের ও ১৪৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ১ হাজার ৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭ জনের ও ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ৩১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের ও সিভাসুতে ১৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের করোনা পাওয়া গেছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চট্টগ্রামের ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও করোনা মিলেনি। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের, শেভরণে ১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের ও আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আরটিআরএলে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জনের ও মেডিকেল সেন্টারে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের করোনা ধরা পড়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় এসেছে। এখনও বিশাল জনগোষ্ঠী টিকা গ্রহণ করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে গেলে জনসংখ্যার ৭০ ভাগকে টিকার আওতায় আনতে হবে। এজন্য টিকা কার্যক্রম সহজ করে গণহারে টিকা প্রদানের মত দিচ্ছেন তারা।

চট্টগ্রামের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। কিন্তু সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৯ জন। এরমধ্যে নগরে ২ লাখ ৫২ হাজার ৩১৯ জন। বাকি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬২০ জন উপজেলার বাসিন্দা। বিশাল জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ ভাগ টিকার আওতায় এসেছে। তাই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গত কয়েকদিনের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শনাক্তের সংখ্যা ওঠা-নামার চিত্রের দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১৫৫ জন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১২০ জন নগরের ও ৩৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।

বুধবার (৫ মে) চট্টগ্রামে মোট ১ হাজার ৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪২টি নমুনায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১১৩ জন এবং উপজেলার ২৯ জন।

মঙ্গলবার (৪ মে) সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত চট্টগ্রামের করোনার খবর বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ১৩৭ জন এবং উপজেলার ৬১ জন।

সোমবার (৩ মে) চট্টগ্রামের করোনার খবর বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হয় ১০৬ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৮৭ জন এবং উপজেলায় ১৯ জন।

রোববার (২ মে) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৮৩১টি। এতে ৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৬৭ জন এবং উপজেলায় ১৭ জন।

শনিবার (১ মে) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৬০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হয় ১৮৫ জনের। শনাক্তদের মধ্যে নগরে ১৩০ জন এবং উপজেলায় ৫৫ জন।