কলম্বিয়ার সঙ্গে সুইডিশ সাবের ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান চুক্তি
মার্কিন উত্তেজনার মধ্যেই ১৭টি গ্রিপেন কেনার ঘোষণা প্রেসিডেন্ট পেত্রোর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কলম্বিয়া সুইডিশ যুদ্ধবিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাব (SAAB)–এর কাছ থেকে ৪.৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ১৭টি গ্রিপেন যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার দেশটির একটি সামরিক ঘাঁটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। খবর এএফপি।
সরকার এ বছরের এপ্রিলেই সাবের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত জানালেও তখন বিমানসংখ্যা বা চুক্তির মূল্য প্রকাশ করা হয়নি। নতুন ঘোষণায় পেত্রো নিশ্চিত করেন যে, দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে প্রথম পর্যায়ে ১৭টি গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করা হবে।
প্রেসিডেন্ট পেত্রো বলেন, কলম্বিয়া বর্তমানে সামরিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার সম্মুখীন। ক্যারিবিয়ান সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ‘মাদকবাহী নৌকাবিরোধী’ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান লাতিন আমেরিকার স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তার ভাষ্য, নতুন বিমানগুলো কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আগ্রাসন দমনে ব্যবহার করা হবে—তা যেখান থেকেই আসুক না কেন। তিনি আরও বলেন, ভূ-রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল এক বিশ্বে আগ্রাসন যেকোনো জায়গা থেকেই আসতে পারে।
কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট পেত্রো বরাবরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচক। কোকেন উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্প তাকে ‘অবৈধ মাদক চক্রের নেতা’ পর্যন্ত আখ্যা দিয়েছেন। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার প্রতি আর্থিক সহায়তা প্রত্যাহার করে এবং মাদকবিরোধী লড়াইয়ের সহযোগী দেশের তালিকা থেকেও কলম্বিয়াকে বাদ দেয়।
পেত্রোর দাবি, ওয়াশিংটন ভেনিজুয়েলার তেলসম্পদ দখল এবং গোটা লাতিন আমেরিকাকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে অঞ্চলে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে।
পেত্রোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোও যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, এই অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধবিমান মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
মার্কিন ও ফরাসি সংস্থাগুলোও কলম্বিয়ার কাছে যুদ্ধবিমান বিক্রির চেষ্টা করেছিল। শেষ পর্যন্ত সাবের গ্রিপেনকেই বেছে নেয় বোগোতা।
বিআলো/এফএইচএস



