গাজা থেকে ফেরত পাঠানো ইসরাইলি জিম্মির দেহাবশেষ শনাক্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের সেনাবাহিনী শনিবার জানিয়েছে, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজা থেকে ফেরত পাঠানো সর্বশেষ জিম্মির দেহাবশেষ শনাক্ত করা হয়েছে। মার্কিন মধ্যস্থতায় দুই বছরের যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এ দেহাবশেষ ফেরত আসে। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী আরও পাঁচটি মৃতদেহ ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এখনও বাকি রয়েছে।
শনাক্ত হওয়া দেহাবশেষটি স্বেচ্ছাসেবক অ্যাম্বুলেন্স চালক লিওর রুদাফের, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হন। ওই হামলাই গাজা যুদ্ধের সূচনা ঘটায়। ৬১ বছর বয়সী রুদাফ আর্জেন্টিনা–ইসরাইল দ্বৈত নাগরিক ছিলেন। হামলার সময় তিনি নিজ সম্প্রদায় নির ইতজাক কিবুতজ রক্ষার চেষ্টায় নিয়োজিত ছিলেন এবং পাঁচজন সশস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তির সঙ্গে নিহত হন।
২০২৪ সালের মে মাসে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ রুদাফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। অক্টোবরের যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস ২০ জন জীবিত ও ২৮ জন মৃত প্রাক্তন জিম্মিকে ফেরত দিতে সম্মত হয়—এই তালিকায় রুদাফের নামও ছিল।
সংকটে আটক ইসরাইলিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন “হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম” এক বিবৃতিতে রুদাফের দেহাবশেষ ফেরত আসাকে ‘অন্তত কিছুটা শান্তি পাওয়ার মুহূর্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির অধীনে ফেরত পাঠানোর অপেক্ষায় থাকা পাঁচটি দেহের মধ্যে রয়েছেন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত তিন ইসরাইলি, একজন থাই নাগরিক এবং ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধে নিহত ইসরাইলি কর্মকর্তা হাদার গোল্ডিন।
বিআলো/এফএইচএস



