রাজউকের অভিযান: গুলশানে হোটেল আমারি’সহ ৭ আবাসিক হোটেল ও স্পা সিলগালা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর জোন ৪/২ এর আওতাধীন গুলশান এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিটন সরকারের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় আবাসিক ভবনে অননুমোদিত অ-আবাসিক-বাণিজ্যিক ব্যবহারের ফলে মোট ৭টি আবাসিক হোটেল ও সেলুন-স্পা সিলগালা করা হয়। এসময় ৯ জন নারী ও ৫ জন পুরুষকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
মোবাইল কোর্ট চলাকালে আবাসিক ভবনে অননুমোদিত স্পা ও সেলুন পরিচালনার কারণে গুলশানের ৪১ নাম্বার রোডের নাইস সেলুন সীলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় সেখান থেকে ১ জন নারী ও ৩ জন পুরুষকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
এছাড়াও গুলশানের হোটেল আমারি-তে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় এবং ভবন ব্যত্যয় করায় হোটেলটি সীলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে হোটেলটিতে বিদেশী অতিথি অবস্থান করায় তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু সেই সকল রুম খালি করার জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়ে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।
মোবাইল কোর্ট চলাকালে গুলশানের হোটেল লেকশোরে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক ব্যবহার করা হলেও মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক স্থিতাবস্থা থাকায় কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। অভিযানে গুলশানের ২৪ নাম্বার রোডের রতনপুর ক্যাসেল নামক ৬ তলা ভবনের ৪টি তলায় অবৈধ স্পা ও সেলুন পরিচালনা করায় তা সীলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় ৮ জন নারী ও ২ জন পুরুষকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
অভিযানকালে ৪১ নাম্বার রোডের উডেন নাইস ফার্নিচারে অননুমোদিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় তা সীলগালা করা হয়। ভবনের ব্যত্যয় রোধে ও অননুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে রাজউক’র নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। মোবাইল কোর্টে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউক’র অথরাইজড অফিসার, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শকসহ উচ্ছেদ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট রাজউক ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
বিআলো/এফএইচএস



