গুলিসহ বিদেশি পিস্তল রাখায় সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময়ের প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট—যার নাম এক সময় রাজধানীর ক্লাবপাড়ার রাজনীতি ও ক্যাসিনো জগতের সমার্থক ছিল। সেই সম্রাটই আজ অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এ রায় ঘোষণা করেন। সম্রাটের অনুপস্থিতিতেই পলাতক দেখিয়ে রায় দেওয়া হয়।
রায়ের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার মধ্যে প্রথম রায়ের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো—অবশ্যই অন্ধকার অধ্যায়।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর—মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে প্রকাশ্যে আসে অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের চিত্র। এর মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উঠে আসে সম্রাটের নাম। অভিযানের পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান, পরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ধরা পড়েন র্যাবের হাতে।
র্যাবের অভিযানে তার কার্যালয় থেকে গুলিসহ বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং নির্যাতনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ক্যাঙ্গারুর চামড়ার দায়ে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই দিন র্যাব অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করে।
২০২০ সালের নভেম্বরে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়ে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। কিন্তু সম্রাট পলাতক থাকায় আদালত তার অনুপস্থিতিতেই বিচার সম্পন্ন করে।
বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। যুক্তিতর্ক শেষে ২৮ অক্টোবরের রায়ের দিন ধার্য করা হয়, আর সেই দিনেই ঘোষণা আসে—যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা চলছে।
বিআলো/এফএইচএস



