ঘাম ও ঘামাচি নিয়ে আর ভাবনা নয়

ঘাম ও ঘামাচি নিয়ে আর ভাবনা নয়

ডা. এ এস এম বখতিয়ার কামাল:  ঘামাচি ঘর্মগ্রন্থির একটি সমস্যা। ঘর্মগ্রন্থির নালি অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও গরমে অনেক সময় বন্ধ হয়ে এ রোগের সৃষ্টি হয়। রোগটি গরমকালেই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কারণ গ্রীষ্ককালে শরীর থেকে পর্যাপ্ত ঘাম নিঃসরণ হতে থাকে। ঘামের অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে থাকে। ঘামের অতিরিক্ত নিঃসরণ কেবল ঘর্মগ্রন্থির ছিদ্রপথ দিয়েই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ফলে ওই নিঃসরণ ঘর্মগ্রন্থি ফুটো করে ত্বকের নিচে এসে জমা হতে থাকে এবং স্থানটি ফুলে ওঠে। সেই সঙ্গে থাকে প্রচণ্ড চুলকানি, সামান্য জ¦ালাপোড়া ভাব ও খুব ছোট ছোট উদ্ভেদ- এটিই মূলত ঘামাচি। ঘামাচি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন- মিলিয়ারিয়া ক্রিস্টালিনা, মিলিয়ারিয়া রুব্রা ও মিলিয়ারিয়া প্রফাউন্ডা। এ তিন ধরনের মধ্যে মিলিয়ারিয়া প্রফাউন্ডা। এ তিন ধরনের মধ্যে মিলিয়ারিয়া রুব্রা সবচেয়ে বেশি হয়। এ রোগটি গরমকালে হয় বলে তাকে ঐবধঃ জধংয বলা হয়। গরম ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এ রোগ বেশি হয়। গরমকালে যারা গায়ে তেল মাখেন, তাদের এ রোগ বেশি হয়।

এ রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। চোখে দেখেই চিকিৎসক এ রোগ নির্ণয় করে থাকেন।  পরামর্শ ও চিকিৎসা : এ রোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। এসির ব্যবস্থা না থাকলে ফ্যানের নিচে থাকতে হবে, যেন ত্বকের সংস্পর্শে বাতাস খেলতে পারে। এ ছাড়া হাইড্রোকটির্সোন ১ শতাংশ ব্যবহার করলে ত্বকের চুলকানি কমে যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ ব্যবহার উত্তম।

লেখক : ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল সহকারী অধ্যাপক (চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চেম্বার : কামাল হেয়ার এন্ড স্কিন সেন্টার রুম নং- ১৫, ১৬, ১৭ গ্রীন সুপার মার্কেট (৩য় তলা), গ্রীন রোড, ফার্মগেট, ঢাকা। (বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা (শুক্রবার বন্ধ) ০১৯১১-৯৫৭৫৫৩ ০১৭১১ ৪৪০ ৫৫৮

 

বিআলো/ইসরাত