চলমান লড়াইয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম

চলমান লড়াইয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম

নিজস্ব প্রতিবেদক:করোনা সংক্রমণ বিস্তার-রোধে চলমান লড়াইয়ে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।


তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতির অগ্রগতিতে চিকিৎসক, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে সংক্রমিত হওয়ার আগে প্রতিরোধের ভিত্তি তৈরি হবে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য-বিধি মানতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম।মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাতে নেত্রকোণা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সরকারি কার্যক্রম সুসমন্বয়ের লক্ষ্যে নেত্রকোণা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানার উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, হাবিবা রহমান খান শেফালী, নেত্রকোণা সদর পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান, স্থানীয় সিভিল সার্জন, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, পুলিশ সুপার, বিজিবি’র সিও, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যন ও ইউএনও অনুষ্ঠানে নেত্রকোণার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করেন।
করোনা সংক্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্থানীয়ভাবে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনা ভাইরাসের ধরণ প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশসহ এই অঞ্চলের দেশসমূহে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট প্রকট আকারে রূপ নিয়েছে। একসময় সাধারণ মানুষের ধারণা ছিলো করোনা শহরের মানুষের রোগ। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উল্টো। করোনা ভাইরাস গ্রামে দারুণ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।


তিনি ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিস্তার-রোধে সীমান্ত উপজেলাসমূহে বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন। নেত্রকোণা সদরে করোনা রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, অক্সিজেন, সিসিও, আইসিও ও ভেন্টিলেটরসহ করোনা চিকিৎসার যে সব উপকরণের ঘাটতি আছে তা যথাসময়ে ব্যবস্থা করতে না পারলে বিপর্যয় থেকে এই জনপদকে রক্ষা করা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলতার সাথে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক প্রয়াস গ্রহণ করেছেন এবং এযাবৎ অতিমারির বিপর্যয় সফলতার সাথে মোকাবেলা করছেন। আমাদের চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে কোন কিছুর ঘাটতি নেই। ব্যবস্থাপনার অভাবে যেন সরকারের অর্জন ব্যর্থ না হয়।


কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন, সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনাকে একটি অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি ভাল দৃষ্টান্ত। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে জনগণকে উদবুদ্ধ করতে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম।


করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক সাথে আলোচনা করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংকট মোকাবেলায় আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। চলতি লকডা্উন সফল করতে প্রশাসনকে মানবিকতা ও কঠোরতার সমন্বয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।


জেলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় তুলে ধরা হয়।


অনুষ্ঠানে বক্তারা করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে চলতি লকডাউন কঠোরভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 বিআলো/শিলি