জকসু নির্বাচন: তিন হাফেজ শিক্ষার্থী ভিন্ন ভিন্ন প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বী
জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হাফেজ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে আছেন—
ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য ঐক্য জবিয়ান প্যানেলের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী কাজী আরিফ
ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. রিয়াসাল (রাকিব)
স্বতন্ত্র প্যানেলের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আশিকুর রহমান আকাশ
অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী পরিসংখ্যান বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী আরিফ বলেন, জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি মাঠে ছিলেন। মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে ২০১৩ সালের ঘটনাবলীর প্রভাব তার পরিবারে পড়েছিল, সেখান থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়। ২০১৬ সালে ছাত্রশিবিরে যুক্ত হয়ে সেই অবস্থানকে নিজের দায়িত্ব হিসেবে নেন। তার ভাষায়, জকসুকে তিনি পুরোনো আন্দোলনের প্রতিদান নয়, বরং দায়িত্ব হিসেবে দেখেন। শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য।
ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রিয়াসাল (রাকিব) বলেন, কোরআন হেফজ করা তার জীবনের বড় সৌভাগ্য। ইসলামি শিক্ষা তাকে নীতি-নৈতিকতায় শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। তিনি নির্বাচন করছেন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যাশা নিয়ে। নির্বাচিত হন বা না হন, শিক্ষার্থীদের জন্যই কাজ করে যেতে চান বলে জানান তিনি।
স্বতন্ত্র প্যানেলের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৮তম ব্যাচের আশিকুর রহমান আকাশ বলেন, হাফেজ হওয়ার মধ্য দিয়ে দায়িত্ববোধ তার ভেতর তৈরি হয়েছে। মানুষের অধিকার রক্ষা, ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখা এবং দুর্বলদের পাশে দাঁড়ানোও সেই দায়িত্বের অংশ। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো আন্দোলনে তিনি নীরব ছিলেন না এবং শিক্ষার্থীদের বিশ্বাসের প্রতি তিনি সর্বোচ্চ সততা রক্ষা করবেন।
উল্লেখ্য, ২২ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভূমিকম্পজনিত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় নির্বাচন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিআলো/ইমরান



