জাদুশিল্পী থেকে রাশেদ যেভাবে বাংলাদেশের মিস্টার বিন হয়ে উঠলেন

জাদুশিল্পী থেকে রাশেদ যেভাবে বাংলাদেশের মিস্টার বিন হয়ে উঠলেন

বিআলো ডেস্ক: মিস্টার বিন। নামটির পরিচয় করাতে আলাদা করে কোনো বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন পড়ে না। ব্রিটিশ এই কমেডিয়ানকে চেনেন না এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়াই যাবে না। ছোট বড় সব বয়সী মানুষের কাছেই প্রিয় মুখ মিস্টার বিন। তবে যদি হঠাৎ রাস্তায় প্রিয় পুতুলটি হাতে মিস্টার বিনকে দেখেন কি করবেন?

নাহ ইউরোপ, আমেরিকায় নয়, খোদ বাংলাদেশেই যদি দেখেন মিস্টার বিন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন! শুনতে অবাক লাগলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে স্যুট-বুট পরে পুতুল হাতে মিস্টার বিনের অবিকল এক চরিত্রকে।

কমেডি শো মিস্টার বিন দেখেনি এমন মানুষ হয়ত খুঁজে পাওয়া কঠিন। ছোট বড় সবার কাছেই অতি পরিচিত চরিত্র মিস্টার বিন। মুখে কোন কথা নেই, কেবল অঙ্গভঙ্গি আর অভিব্যক্তি দিয়ে যে কাওকে হাসতে বাধ্য করেন মিস্টার বিন! সেই মিস্টার বিনকে এখন দেখা যায় বাংলাদেশের নানা প্রান্তে। স্যুট-বুট সঙ্গে পুতুল, করেন মিস্টার বিনের মতো অঙ্গভঙ্গি। 

রাশেদ মূলত একজন জাদুশিল্পী। তার জাদুর হাতেখড়ি হয় ২০১০ সালে জাদুশিল্পী প্রিন্স আকাশের হাত ধরে। তারপর তিনি অনেকের কাছ থেকেই জাদু শিখেছেন। এরপর তিনি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) জাদু বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘চোখের পলকে’ নিয়মিতভাবে জাদু দেখান।

জাদুর পাশাপাশি চেহারায় মিল আছে এমন কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেন। রাসেদ জানান তার মিস্টার বিন হয়ে ওঠার গল্প, চেহারায় মিল থাকায় অপর এক জাদুশিল্পী তাকে মিস্টার বিনকে অনুকরণের পরামর্শ দেন। সেই থেকে রাশেদ হয়ে ওঠেন বাংলার মিস্টার বিন।

রাশেদ শিকদারের জন্ম ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার (বেড়া) খানপুরা গ্রামে। বাবা মো. আব্দুল মান্নান শিকদার ও মা মোছা. আসমা বেগম। তিনি ২০০৮ সালে পাইকান্দী খানপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, ২০১৪ সালে পাবনার আমিনপুর কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৮ সালে নাটরের দিঘাপতিয়া এম কে কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমান তিনি পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বিএসএস ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

রাসেদ শিকদার জানান, বাংলাদেশে এম রহমান নামে একজন ম্যাজিশিয়ান আছেন। উনি আমাকে বললেন রাশেদ তোমার চেহারা-তো মিস্টার বিনের সঙ্গে মিলে যায়। তুমি যেহেতু ম্যাজিক করো। ম্যাজিকের পাশাপাশি এটাও চেষ্টা করতে পারো। তখন থেকে আমি ভাবলাম এটাকে কাজে লাগানো যায়। তখন থেকেই চেষ্টা করি।

তিনি আরও জানান, বাংলার মি. বিন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আগে থেকেই অনেকে বলতো, তাকে দেখতে মি. বিনের মতো লাগে। রাশেদের ইচ্ছা ইউটিউবে সুস্থ ধারার বিনোদন দিয়ে সফল হওয়া। ভালো নির্মাতার অধীনে কমেডি চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা, বাংলার মিস্টার বিন রাশেদের। ইতোমধ্যে ইউটিউবে সাড়া পরছে বাংলার মিস্টার বিনের বিভিন্ন ভিডিও। মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি।

বিআলো/ইলিয়াস