• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    জীবাশ্ম গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নয় নদীতে নৌবহরের গর্জন 

     dailybangla 
    19th Nov 2025 5:56 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেসে উঠল প্রতিবাদের স্লোগান। আকাশজোড়া প্ল্যাকার্ড আর নৌবহরের সারি যেন জানিয়ে দিল—জলবায়ুর ভবিষ্যৎ নিয়ে আর নয় অবহেলা।

    গ্যাস সম্প্রসারণ বিরোধী বিশ্বব্যাপী কর্ম দিবস–২০২৫ সামনে রেখে বাংলাদেশের নয়টি নদীতে বুধবার (১৯ নভেম্বর) অনন্য এক নৌবহর–প্রতিবাদের আয়োজন করল পরিবেশবাদী সংগঠন আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।

    উদ্দেশ্য একটিই—গ্লোবাল সাউথে জীবাশ্ম গ্যাসকে “পরিচ্ছন্ন জ্বালানি” বানানোর প্রচারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং জলবায়ু সংকটের কঠোর বাস্তবতা সামনে আনা।

    বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৪,০০০ mmcfd গ্যাসের চাহিদা, কিন্তু সরবরাহ মাত্র ১,০০০ mmcfd। এ ঘাটতি মোকাবিলায় সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা করেছে, যার লক্ষ্য ৬১৮ mmcfd অতিরিক্ত গ্যাস উৎপাদন। কিন্তু স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রের মজুদ ফুরিয়ে আসায় এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভরতা আরও বেড়েছে—২০২৫–২৬ অর্থবছরে ১১৫টি এলএনজি কার্গো আনার পরিকল্পনাও এর প্রমাণ।

    বৈশ্বিক পরিস্থিতিও মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ায় এখনই নির্মাণাধীন রয়েছে ৭৬৮টি নতুন গ্যাস প্ল্যান্ট, ১৫৩টি এলএনজি টার্মিনাল, ৩০০টি পাইপলাইন এবং শত শত গ্যাসক্ষেত্র—যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যকে দুর্বল করে দিচ্ছে। শুধু ২০২৪ সালেই যুক্তরাষ্ট্র রপ্তানি করেছে ৮৮ মিলিয়ন টনের বেশি এলএনজি। COP30 ও আসন্ন G20 সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু আন্দোলনকারীরা সরকারগুলোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন—জীবাশ্ম গ্যাস সম্প্রসারণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, এবং দ্রুত, ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে হবে।

    আজকের কর্মসূচিতে বুড়িগঙ্গা, পশুর, বুড়িশ্বর, পায়রা, বিষখালী, আন্দারমানিক, কুতুবদিয়া সাগর চ্যানেল, মগনামা–কুতুবদিয়া চ্যানেল ও খোয়াই নদী—এই নয়টি জলপথে নৌবহর নিয়ে একযোগে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। নদীর বুকে ছুটে চলা নৌবহরগুলোর ব্যানার ও স্লোগান ছিল চোখে পড়ার মতো—“গ্যাস সম্প্রসারণ বন্ধ করো”, “দক্ষিণে গ্যাস দেবেন না”, “নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে এখনই”—এমন সব বার্তা।

    প্রতিবাদকারীদের প্রধান দাবি

    • জীবাশ্ম গ্যাস সম্প্রসারণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
    • প্যারিস চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্বালানি রূপান্তরের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করতে হবে।
    • COP30 ও G20 ঘোষণায় ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে হবে।

    নদীভিত্তিক এই ব্যতিক্রমী নৌবহর–প্রতিবাদ বাংলাদেশে জলবায়ু আন্দোলনে যোগ করেছে নতুন এক মাত্রা; যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনার জন্ম দেবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।

    বিআলো/তুরাগ

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930