ডিসেম্বরেই পে কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ, ভুয়া নথি নিয়ে সতর্ক করল কমিশন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো তৈরিতে গঠিত পে কমিশন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারে। কমিশনের কাজের অগ্রগতি এখন অর্ধেকের মতো; আগামী সপ্তাহে সচিবদের মতামত গ্রহণের পর শুরু হবে সুপারিশ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া। তবে এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভুয়া সুপারিশপত্র’ ছড়িয়ে পড়ায় সতর্ক করেছে কমিশন।
কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আলী খান জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৫ পৃষ্ঠার বেতন কাঠামোর তথাকথিত খসড়া কমিশনের তৈরি নয়।
তিনি বলেন, “ওই নথি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর। আমাদের কাছে এমন কোনো কাগজ নেই। গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া এখনও বাকি। আগামী সোমবার সচিবদের সঙ্গে বৈঠক হবে।”
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তথাকথিত নথিতে বিভিন্ন গ্রেডের বেতন বৃদ্ধি, ইনক্রিমেন্ট কাঠামো ও ভাতা সংশোধনের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা কমিশনের অনুমোদিত নয় বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। কমিশনের ভাষ্য- বেতন কাঠামোর কোনো সিদ্ধান্তই এখনও চূড়ান্ত হয়নি, অনুমোদন তো দূরের কথা; অথচ কমিশনের নাম-লোগো ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
এদিকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হলে প্রস্তাবিত পে স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে স্কেলের গেজেট প্রকাশ না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে ২৩ সদস্যের জাতীয় বেতন কমিশন- ২০২৫ গঠন করে সরকার। প্রথম বৈঠকের ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ইতিমধ্যে আগামী ২৪ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সুপারিশপ্রণয়ন প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
বিআলো/শিলি



