ত্রাণ আত্মসাৎ-এর অভিযোগে ৭ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য বরখাস্ত

ত্রাণ আত্মসাৎ-এর অভিযোগে ৭ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রাণ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরো সাত জন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তিন জন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা হলেন, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউপির মো. নূরে আলম বেপারী, ভোলা জেলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউপির মো. মিজানুর রহমান খান, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার কমলাপুর ইউপির মো. মনির রহমান মৃধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউপির শাহ আল শফি আনসারী, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার যশাই ইউপির মো. সিদ্দিকুর রহমান মণ্ডল, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউপির জারজিদ মোল্লা এবং কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী।

সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহিউদ্দিন সোহেল এবং একই উপজেলার কেশবপুর ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. লিপি বেগম।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটের সময় তাদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাৎ, জাটকা নিধনে বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাৎ ও কালোবাজারে বিক্রি, সরকারি ত্রাণের চাল ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত চাল নির্ধারিত পরিমাণে প্রদান না করা ও বিধিবহির্ভূতভাবে অন্যদের মাঝে বিতরণ ইত্যাদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

এদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আল শফি আনসারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর সময় এলাকায় অবস্থান না করে বিনা অনুমতিতে বিদেশ গমন করেছেন এবং নেত্রকোনা জেলার গাঁওকান্দিয়া ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ষাড়ের লড়াই আয়োজনের মাধ্যমে গণজমায়েত করে জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন।

উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপরাধমূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

একইসময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।