দক্ষিণাঞ্চলের লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: শীত আসার আগেই দক্ষিণাঞ্চলের বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা ও দুমকির গ্রামে ঐতিহ্যবাহী লেপ-তোষক কারখানাগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। বছরের পাঁচ মাস—কার্তিক থেকে ফাল্গুন—এই অঞ্চলের কারিগরদের প্রধান কাজের মৌসুম। তবে অফ সিজনে কাজের অভাব ও কাঁচামালের অস্থির বাজার তাদের জীবিকা দুর্বল করে দিচ্ছে।
বাউফলের নাজিরপুর ছোট ডালিমা গ্রামের কারিগর মো. হেলাল জানান, শীত মৌসুমে দিনে গড়ে ৭-৮টি লেপ তৈরি করা সম্ভব, তবে অফ সিজনে দৈনিক উৎপাদন কমে ২-৩ পিসে সীমিত থাকে। কাঁচামালের দাম ওঠানামা—বিশেষ করে তুলা ও পলি ফোম—তাদের লাভকে প্রভাবিত করে। হেলালের মতে, মৌসুমে মাসিক আয় গড়ে ২৫ হাজার টাকা হলেও অফ সিজনে তা নেমে আসে মাত্র ১০ হাজার টাকায়।
মোহাম্মদ মিলন বলেন, তোষক তৈরিতে খরচ অনেক বেশি। দাম বাড়লে আমাদের লাভ কমে যায়, আর কম দামে বিক্রি করলে খরচও মেটানো যায় না।
স্থানীয়রা সরকারের সহযোগিতা দাবি করেছেন। হেলাল বলেন, অফ সিজনে সুদমুক্ত ঋণ বা সরকারি কর্মসংস্থান ব্যবস্থা থাকলে আমরা স্বস্তিতে জীবন কাটাতে পারব।
বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু মন্তব্য করেন, এই শিল্প শুধু অর্থনৈতিক সুবিধা দেয় না, বরং গ্রামীণ ঐতিহ্যও ধরে রাখে। কারিগরদের জন্য প্রশিক্ষণ, বাজারসংযোগ ও ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, কারিগরদের সমস্যা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। অফ সিজনে প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া হবে, যাতে এই পেশা টিকে থাকে।
বিআলো/এফএইচএস



