নজরুলের পাশে চিরনিদ্রায় শহীদ ওসমান হাদি: দেশজুড়ে শোকের ছায়া
নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা ও বিশাল জনসমুদ্রে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত এ জানাজায় অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
জানাজায় ইমামতি করেন শহীদ হাদির বড় ভাই ড. মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক। সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, আসাদগেটসহ আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। খামারবাড়ি থেকে আসাদগেট পর্যন্ত রাস্তায় মানুষের ঢল নামে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জানাজায় অংশ নিয়ে বলেন, “হাদিকে বিদায় দিতে আসিনি। হাদির শেখানো মন্ত্র- ‘বলো বীর চির উন্নত মম শির’ যেন বাংলাদেশের মানুষ বুকে ধারণ করে, সে জন্য এসেছি। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হবে বাংলাদেশ।” তিনি হাদিকে ‘বিপ্লবী রক্তে উজ্জীবিত প্রতিবাদের আইকন’ আখ্যায়িত করে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। ঢাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়েছে; সব সরকারি-বেসরকারি ভবন ও বিদেশী মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, পরিবারের দাবি অনুযায়ী শহীদ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এই বীর যোদ্ধার বিদায়ে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, কিন্তু তার শেখানো সাহস ও প্রতিবাদের চেতনা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নেতারা।
বিআলো/শিলি



