নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের তৎপরতায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি
মনিরুল ইসলাম মনির: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নাশকতা ও সহিংসতা রোধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে মাঠে নেমেছে। রাজধানীর প্রবেশপথসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি জোরদার হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাঁর কঠোর নির্দেশনা ও তৎপরতায় জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় লকডাউনকে কেন্দ্র করে জ্বালাও–পোড়াও ও সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও নারায়ণগঞ্জে তেমন কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। জেলা পুলিশের কঠোর টহল, পাহারা ও চেকপোস্ট কার্যক্রমের কারণে সম্ভাব্য নাশকতা আগেই প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিজে উপস্থিত থেকে তদারকি করছেন। লকডাউনের সময় যেন কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়—সে লক্ষ্যে জেলা জুড়ে বিভিন্ন অভিযানের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
লকডাউন–ঘিরে নাশকতা রোধে রাস্তার পাশে খোলা তেল বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন জেলার সড়ক মহাসড়কের ধারে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে। পুলিশ প্রশাসনের মতে, এসব তেল ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অঘটন ঘটানোর ঝুঁকি থাকে।
জেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ দিন-রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিআলো/ইমরান



