• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    নির্বাচনে পরাজয় সত্ত্বেও ক্ষমতা ছাড়তে চান না জাপানের প্রধানমন্ত্রী 

     dailybangla 
    21st Jul 2025 6:55 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: জাপানের ক্ষমতাসীন জোট দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেছেন, তার এখনই সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

    রোববার তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকির ইস্যুর কারণে এই নির্বাচন হয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও এর অংশীদার কোমেইতোর জন্য হতাশাজনক।

    ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ‘এই কঠিন ফল’ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন, তবে এখন তার দৃষ্টি হলো বাণিজ্য আলোচনা।

    এর আগে গত বছর দেশটির শক্তিশালী নিন্মকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর এবার উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো তার জোট। এটি জোট সরকারের প্রভাব কমাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশটির ২৪৮ সদস্যের উচ্চকক্ষের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ক্ষমতাসীন জোটের ৫০টি আসন দরকার ছিলো।

    রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এনএইচকের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা ৪৭টি টি আসন পেয়েছে। আরও একটি আসনের ফল ঘোষণা বাকি আছে।

    উচ্চকক্ষের অর্ধেকের মতো আসনে রোববার ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর সদস্যরা ছয় বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

    কান্দা ইউনিভার্সিটি অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এর জাপানিজ স্টাডিজের শিক্ষক জেফরি হল বিবিসি নিউজকে বলেছেন, এলডিপির রক্ষণশীল সমর্থন ভিত্তিকে ভাগ করেছে কয়েকটি ডানপন্থী দল। প্রধানমন্ত্রী ইশিবাকে যথেষ্ট রক্ষণশীল বলে মনে করেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সমর্থকরা।

    তারা মনে করেন, তার শুধু জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গীই নেই তা নয়, বরং চীনের বিরুদ্ধেও তার শক্ত দৃষ্টিভঙ্গী নেই, যা শিনজো আবের ছিলো।

    শিনজো আবে এলডিপির সাবেক নেতা এবং জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘসময়ের প্রধানমন্ত্রী।

    হল বলছেন, দলটির কিছু সমর্থকের সমর্থন এবার সানসেইতো পার্টির দিকে গেছে।

    ইশিবার মধ্য ডানপন্থী দলটি ১৯৫৫ সাল থেকে জাপান শাসন করে আসছে। যদিও বহুবার এর নেতা পরিবর্তন হয়েছে।

    নির্বাচনের ফলকে ভোটারদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আলোচনার বিষয়টি এতে ভূমিকা রেখেছে।

    বহু মানুষ মূল্যস্ফীতি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট, বিশেষ করে চালের দাম নিয়ে। এর সাথে রয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এলডিপিকে ঘিরে হওয়া নানা কেলেঙ্কারি।

    এলডিপির শেষ তিন প্রধানমন্ত্রীকে উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো দুই মাসের মধ্যে এবং বিশ্লেষকরা মনে করেন এবারেও একই বিষয় হতে পারে।

    সেটি হলো দলটির নেতৃত্ব যারা নিতে পারেন তার মধ্যে আছে সানায়ে তাকাইচি। তিনি গত বছর দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী তাকাইয়ুকি কোবায়াশি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কইজুমির ছেলে শিনজিরো কইজুমিও রয়েছেন।

    কোনো কারণে শাসক দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন হলে তা নতুন রাজনৈতিক নাটকীয়তার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-জাপান আলোচনায় জাপান সরকারকে কিছুটা অস্থিতিশীল করবে।

    কোভিড মহামারির সময়ে সানসেইতো টিকার বিষয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করে ইউটিউবের মাধ্যমে আলোচনায় আসে।

    এবারের নির্বাচনে বিদেশী অধিবাসী ও অভিবাসন বিষয়ে তাদের বক্তব্য ব্যাপক প্রচার পেয়েছে।

    নিজস্ব সংস্কৃতি আর কড়া অভিবাসন নীতির কারণে বিখ্যাত এই দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটক ও বিদেশী অধিবাসীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

    ফলে বিদেশীরা সুবিধা নিয়ে নিচ্ছে-এমন সেন্টিমেন্ট সেখানে জোরালো হয়েছে।

    এমন প্রেক্ষাপটে বিদেশী নাগরিকদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ বা খারাপ আচরণ মোকাবেলায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইশিবা।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930