নোয়াখালীর তিন সহোদর পাচ্ছেন সিআইপি সম্মাননা
নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালীর জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল ও বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন একই পরিবারের তিন সহোদর ভাই। তাঁরা একযোগে Commercially Important Person (CIP) হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন, যা দেশের ইতিহাসে সম্ভবত প্রথম ঘটনা। সম্মাননা প্রাপ্ত তিন ভাই হলেন ক্যাপ্টেন এ.কে.এম গোলাম কিবরিয়া, গোলাম মর্তুজা এবং জাহিরুল ইসলাম।
আসন্ন আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার আয়োজিত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তাঁদের এই সম্মাননা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং প্রবাসী হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁদের এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননায় ভূষিত করা হচ্ছে।
ক্যাপ্টেন এ.কে.এম গোলাম কিবরিয়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁর পেশাগত দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণের জন্য সুপরিচিত। গোলাম মর্তুজা শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। অপরদিকে জাহিরুল ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ও কমিউনিটি উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তিন ভাইই ড. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন-এর উপদেষ্টা (Advisory Board Member) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ (MH Global Group)-এর সি-সুইট (C-Suite) নেতৃত্বের অংশ হিসেবে কৌশলগত ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। শিক্ষা, মানবিক কার্যক্রম, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও বৈশ্বিক ব্যবসা সম্প্রসারণে তাঁদের সম্মিলিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠান দুটিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুদৃঢ় অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবাসে অবস্থান করেও নিষ্ঠা, সততা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে মাতৃভূমির উন্নয়নে তাঁদের অবদান প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তাঁদের বিভিন্ন উদ্যোগে শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
জানা গেছে, মর্যাদাপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আইন, ক্রীড়া ও প্রবাসী বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উপস্থিত থাকবেন। তাঁদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটির গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে তিন ভাইয়ের মা রত্নগর্ভা হাজেরা বেগমকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁর উপস্থিতি এই অর্জনের পেছনে পারিবারিক মূল্যবোধ, ত্যাগ ও অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের অভিমত, একই পরিবারের তিন সদস্যের এই অসাধারণ স্বীকৃতি তরুণ প্রজন্ম ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এটি প্রমাণ করে—শিক্ষা, সততা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে বৈশ্বিক পরিসর থেকেও দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সম্ভব।
বাংলাদেশ যখন প্রবাসী নাগরিকদের অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানাচ্ছে, তখন ক্যাপ্টেন এ.কে.এম গোলাম কিবরিয়া, গোলাম মর্তুজা ও জাহিরুল ইসলামের এই অর্জন জাতীয় ইতিহাসে এক অনন্য ও গৌরবময় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিআলো/ইমরান



