পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি আব্দুল কাদির মারা গেছেন

পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি আব্দুল কাদির মারা গেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি আব্দুল কাদির খান মারা গেছেন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৬৩ বছর বয়সে মারা যান এই স্পিন যাদুকর। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, টিম মেটসহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বোর্ড।


কাদিরের মৃত্যুর বিষয়টি ডন অনলাইনকে নিশ্চিত করেন তার ছেলে সালমান কাদির। সালমান বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বাবাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


এদিকে, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে এক টুইটে পিসিবি জানিয়েছে, ‘মায়েস্ত্রো আবদুল কাদিরের বিদায়ের খবরে শোকাহত পিসিবি, তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি।’


লাহোরে জন্ম নেয়া আব্দুল কাদির ১৯৭৭-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৬৭ টেস্ট ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২৩৬ উইকেট। আর ১০৪টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে তার উইকেট ১৩২টি।


আশির দশকে ক্রিকেটে লেগ স্পিন ছিল সবচেয়ে বড় রহস্য। আর সে রহস্যে বিশ্ব কাঁপিয়েছিলেন কাদির। শেন ওয়ার্ন, মুশতাক আহমেদের গুরু বলা হয় কাদিরকে। ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৫৬ রানে দিয়ে ৯ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা।


পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক, কাদিরের টিম-মেট পেসার ওয়াসিম আকরাম টুইটে লিখেছেন, অনেক কারণে তাকে জাদুকর বলে ডাকা হতো। কিন্তু যখন তিনি আমার চোখের দিকে তাকাতেন এবং বলতেন আমি পাকিস্তানের হয়ে আগামী ২০ বছর খেলতে চাই, আমি তাকে বিশ্বাস করতাম।


‘আসলেই তিনি একজন জাদুকর। একজন লেগ স্পিনার এবং প্রদর্শক তার সময়ের। কাদিরকে সবাই মিস করতে পারেন, তবে কখনও ভুলতে পারবেন না।’


জাতীয় দলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপে (১৯৮৩ ও ১৯৮৭) প্রতিনিধিত্ব করেন কাদির। সংক্ষিপ্ত মেয়াদে দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেন তিনি।


একসময় পাক দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন এই লেগস্পিন লিজেন্ড। ধারাভাষ্যকারের ভূমিকাতেও দেখা গেছে তাকে।


শেন ওয়ার্ন কাদিরের বিদায়ে বলেন, ‘আবদুল কাদিরের দুঃসংবাদটা শুনলাম। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানে আমার প্রথম সফরে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মিলেছিল। আমার মতোই যারা লিগ স্পিন করে, তারা তাকে অনুসরণ করতাম। অসাধারণ এক বোলার, যে অসংখ্য ব্যাটসম্যানকে বোকা বানিয়েছে।’