প্রথম কিস্তিতে আইএমএফের কাছে দেড় বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ

প্রথম কিস্তিতে আইএমএফের কাছে দেড় বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ

বিআলো ডেস্ক:আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চায় বাংলাদেশ। তবে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রথম কিস্তিতে দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বরাত দিয়ে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা এবং বাজেট ঘাটতি পূরণে সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চায় সরকার। তবে অর্থের ওই পরিমাণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, সেজন্য আলোচনা চলছে।

মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আইএমএফ ছাড়াও বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে বাংলাদেশ আরো ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে চায়। সরকার এ বিষয়ে আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশের আগে এশিয়ার দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও আইএমএফের কাছে জরুরি তহবিল চেয়েছে। পাকিস্তান তাদের চলমান ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি আরো ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার নেয়ার বিষয়ে প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে ঋণের ব্যাপারে আইএমএফের সঙ্গে এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ কমাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেয়ায় দেশজুড়ে চলছে সিডিউল লোডশেডিং। এরমধ্যে গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অর্থতমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সবাইকে এখন ভুগতে হচ্ছে। আমরাও চাপের মধ্যে আছি। তবে শ্রীলঙ্কার মতো ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাংলাদেশের নেই।’

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রায় চার বিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে বেইজিংয়ের কাছে। যা বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ছয় শতাংশ। বিআরআই প্রকল্পের আওতায় ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বিআলো/শিলি