ফরিদপুরে আকলিমা হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার  

এস. এম আকাশ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর আকলিমা হত্যার ১০ দিন পরেই র‌্যাবের হাতে আটক হলো হত্যার প্রধান আসামি মো. আনিস শেখ (২৩)। 

মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর শহরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত আনিস শেখ রাজবাড়ী কালুখালী উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুস শেখের ছেলে।  জানা যায়,  র‌্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্প  কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানতে পারে যে, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ সিএন্ডবি ঘাট হতে আকলিমা বেগম ওরফে সোনিয়া (৩০) নামের এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এবং ওই বিষয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটা ক্লুলেস হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়েরের পর হতে ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্প এই ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে। 

এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ সেপ্টেম্বর  গোয়েন্দ তথ্যের ভিত্তিতে অত্র হত্যা মামলার ঘটনার সাথে জড়িত কালুখালীর পশ্চিম রতনদিয়া গ্রামের মোঃ রাসেল দেওয়ানকে (১৫) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাসেল বিজ্ঞ আদালতে আকলিমা হত্যাকা-ের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সিআরপিসি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। রাসেলের জবানবন্দিতে ওই হত্যাকান্ডে  মো. আনিস শেখ (২৩) ও  মো. ছালাম(৩৫) জড়িত আছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এরপর  র‌্যাব  মঙ্গলবার ভোর রাতে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে আসামি আনিস শেখকে গ্রেফতার করে। 

র‌্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ জানান,  গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে গ্রেফতারকৃত আনিস শেখ ও আসামি ছালাম আকলিমা বেগম ওরফে সোনিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ছালাম তার দোকান থেকে লোহার রড নিয়ে এবং একটা মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় আসামিরা ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা করে। মোবাইল ফোনে আকলিমার সাথে যোগাযোগ করে  শিবরামপুর থেকে আকলিমাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় এবং আকলিমাকে গাড়িতে তোলার পূর্বেই ছালাম মাইক্রোবাসের পেছনের ছিট ও ডালার ফাঁকে লুকিয়ে পরে। পরে আনিস চলন্ত গাড়িতে আকলিমাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে ছালাম লুকানো স্থান থেকে বের হয়ে এসে আকলিমাকে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে, তখন আনিসও আকলিমাকে কিল, ঘুষি, লাথি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে হত্যা করে। পরে আসামিরা আকলিমার লাশি নিয়ে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঘুরে ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাটের নিকটে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে মাইক্রো চালিয়ে মধুখালী ও বালিয়াকান্দি দিয়ে কালুখালী পৌঁছায়।