ফেনী-২ (সদর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু
আবুল হাসনাত তুহিন,ফেনী: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী–২ (সদর) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান ও ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রার্থী মজিবুর রহমান মঞ্জু।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মিজ মনিরা হকের কাছ থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক মিয়া তৌফিক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফেনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ আলম বাদল, ফেনী জেলা আহ্বায়ক আহছান উল্যাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফলাতুন বাকী, সদস্যসচিব ফজলুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম কামরুল, অর্থ সম্পাদক শাহীন সুলতানীসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন,
“নিজেকে খুব যোগ্য বলে উপস্থাপন করে ভোট চাওয়া কখনোই আমার কাছে সভ্য-ভদ্র কাজ মনে হয়নি। কিন্তু এই নির্বাচনে অংশ নিতে এসে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেসব কথা বলতে হচ্ছে। আমি বরং আমার অযোগ্যতার কথাই বলতে চাই। এটি আমার প্রথম নির্বাচন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।”
তিনি বলেন,
“ছাত্রজীবন থেকে প্রায় ৩৫ বছর ধরে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত রাজনীতি করেছি। নির্যাতন, নিপীড়ন, জেল-জুলুম সহ্য করেছি, কিন্তু কখনো মাথা নত করিনি। আমার অনেক সার্টিফিকেট আছে, কিন্তু জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার কোনো সার্টিফিকেট নেই।”
ফেনীর জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন,
“আমি আপনাদের কাছে একটি অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট চাইতে এসেছি। নতুন রাজনৈতিক দল ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলায় আমাকে অনেকে অপমান করেছে। তারা বলেছে—আমাদের কোনো বেইল নেই, খাওয়া নেই, কয়টা ভোট আছে। এসবের বিচার করবে ফেনী-২ এর জনগণ।”
তিনি আরও বলেন,
“৫৪ বছর ধরে দেশে যে ভুল রাজনীতি চলছে, তার বাইরে গিয়ে আমরা যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলেছি—তা সঠিক কি না, নতুন রাজনীতি মানুষ চায় কি না, তার ফায়সালা আপনারাই দেবেন। আপনারা যে রায় দেবেন, তা আমি মাথা পেতে নেবো।”
ফেনীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন,
“ফেনীর উন্নয়নের জন্য আলাদা কোনো ওয়াদার দরকার নেই। যদি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়, কেউ কারও দোকান-বাড়ি-জমি দখল না করে, প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় এবং রাজনৈতিক সহিংসতা না থাকে—তাহলেই ফেনী হবে দেশের সবচেয়ে উন্নত, শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর জেলা।”
তিনি ফেনীকে সব ধরনের দূষণমুক্ত রাখতে রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিআলো/ইমরান



