বাজারে বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম

বাজারে বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:করোনাকালে সীমিত আয়ের মানুষ যখন হিমিশিম খাচ্ছে, তখনও নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রতি সপ্তাহেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম ও মুরগির দাম বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে বেশিরভাগ সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাজারগুলোতে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। আর বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে।

মুরগির পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, খামার পর্যায়ে মুরগির উৎপাদন কম হচ্ছে। বিপরীতে চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। এতে দামও বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৮০ টাকা ও কাকরোল ৮০ থেকে ৬০ টাকা।

আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

এসব বাজারে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা আটার। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়।

এদিকে ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি করছেন ১৫০-১৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা। আর পাকিস্তানি কক বিক্রি করছেন কেজি ২৮০-৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০-২৮০ টাকা। এর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২২০-২৩০ টাকা।

মুরগির সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দামও। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা আকবর বলেন, খামারিরা বলছে উৎপাদন কম। উৎপাদন কমের কথা বলে খামারিরা বাড়তি দাম নিচ্ছে। খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে মুরগির দাম। তিনি আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। গতবছর ঠিক শীতের আগে আগে বাজারে বেড়েছিল মুরগির দাম। ঠিক একইভাবে এবছরও দাম বেড়েছে। মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।


বিআলো/শিলি