বরিশাল বিসিকে সুতা কারখানায় ভয়াবহ আগুন অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দেড় শতাধিক শ্রমিক
বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন; অচল অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ক্ষোভ শ্রমিকদের
বরিশাল ব্যুরো: মাত্র কয়েক সেকেন্ড। এর মধ্যেই ধোঁয়ায় ঢেকে গেল পুরো কারখানা, আর চারদিকে শুরু হলো আতঙ্ক আর অসহায় দৌড়ঝাঁপ। বরিশালের বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত খানসন্স টেক্সটাইল মিলের সুতা তৈরির কারখানায় শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এমনই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান দেড় শতাধিক শ্রমিক।
কারখানার শ্রমিকদের বরাত দিয়ে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারখানার ভেতরে এসি মেরামতের কাজ চলছিল। ঠিক সে সময় বিদ্যুতের তারে শর্ট সার্কিট হলে হঠাৎই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অংশে, আর তাতে কারখানা ভরে যায় তীব্র ধোঁয়ায়।
শ্রমিক লিপি জানান, “একটি তার শর্ট করলে সেখান থেকেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।” অন্য শ্রমিক মকবুল অভিযোগ করেন, “কারখানার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র অনেক দিন ধরেই অচল। শুরুতেই আগুনটা নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে।” তিনি দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন দাবি করেন।
খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই চলছে।”
কারখানার ম্যানেজার যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি জানান, “আগুনের সূত্রপাত হওয়ামাত্রই শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমরা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। তাদের তৎপরতায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।”
অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় এড়ানো গেলেও কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে শ্রমিকদের মধ্যে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে উন্নত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিআলো/তুরাগ



