বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে দেশব্যাপী অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা
নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহৎ পরিসরের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ইনডোর স্টেডিয়ামে একযোগে তিনটি ক্যাটাগরিতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের আয়োজনে সারা দেশ থেকে মোট ৯ হাজার ৭০৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৩৩৭ জন শিক্ষার্থী অফলাইনে এবং ৪ হাজার ৩১৭ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে।
ক্যাটাগরি-১ এ (তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি) তৃতীয় শ্রেণির ১ হাজার ৮৬৫ জন, চতুর্থ শ্রেণির ১ হাজার ৩৭০ জন, পঞ্চম শ্রেণির ১ হাজার ৪৭৩ জন এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ১ হাজার ১৬১ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৫ হাজার ৮৬৯ জন রেজিস্ট্রেশন করে।
ক্যাটাগরি-২ এ (সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি) সপ্তম শ্রেণির ১ হাজার ৪১২ জন, অষ্টম শ্রেণির ৯০৫ জন, নবম শ্রেণির ৮৮৩ জন এবং দশম শ্রেণির ৬৪৯ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৩ হাজার ৮৩৯ জন রেজিস্ট্রেশন করে।
এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্যাটাগরিতে অংশ নেয় ৩১৫ জন।
তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় মোট ৩০ লাখ টাকার ১৪৩টি পুরস্কার, সঙ্গে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে। পুরস্কারের মধ্যে প্রথম পুরস্কার ৩ লাখ টাকা, দ্বিতীয় ২ লাখ টাকা, তৃতীয় ১ লাখ টাকা, চতুর্থ ৭০ হাজার টাকা এবং পঞ্চম ৫০ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাগত জানান বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আনিছুর রহমান।
বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন শিল্পগুরু ছাপচিত্রের জাদুকর মনিরুল ইসলাম, দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক আবদুর শাকুর শাহ, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা শিল্পী অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান, অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন এবং এই প্যানেলে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন ধ্রুব এষ।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ও বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মেজর (অব.) মহসিনুল করিম বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের আগ্রহে এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে ২০ জন দক্ষ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত ছিলেন। তিনি জানান, এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে চলবে।
তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরার চেয়ারম্যান এই প্রতিষ্ঠানকে এশিয়ার অন্যতম সেরা স্কুল হিসেবে গড়ে তুলতে চান। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, শিক্ষিত ও আত্মনির্ভরশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সাঁতার, গান, নাচ, চিত্রাঙ্কন, কারাতে, তায়কান্দো, ফুটবলসহ নানা সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। পাশাপাশি বাংলা ভাষার সঙ্গে আরবি, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ ও চীনা ভাষা শেখানোর পরিকল্পনাও রয়েছে, যেখানে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে আরবিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এ স্কুলের মূল লক্ষ্য হলো প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সবদিক থেকে পারদর্শী করে তোলা—যেন তারা শুধু চাকরিপ্রার্থী না হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠে এবং অন্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। স্কুল চালুর আগে এক বছর ফিনল্যান্ডের কারিকুলামের আলোকে শিক্ষক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, বিদেশি প্রশিক্ষক আনা হয়েছে এবং কারিকুলাম উন্নয়নে গবেষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল কারিকুলাম অনুসরণ করলেও এখানকার শিক্ষা পদ্ধতি ও পরিবেশ হবে আন্তর্জাতিক মানের।
বিআলো/তুরাগ



