বাউফলে অনুমোদনহীন ইটভাটায় অভিযান: জরিমানা, গ্রেপ্তার ও কার্যক্রম বন্ধ
মো. তারিকুল ইসলাম (মোস্তফা),বাউফল (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফলে দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত ‘এম এ ব্রিক’ নামের একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা, গ্রেপ্তার এবং ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নুরাইনপুর বাজারের উত্তর পাশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলুর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা, বাউফল থানা পুলিশ এবং স্থানীয় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে ইটভাটাটির কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই বলে নিশ্চিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও দেখাতে পারেননি ভাটা–দায়িত্বশীলরা। এ ছাড়া কৃষিজমির উর্বর মাটির ওপরি-স্তর কেটে ইটের কাঁচামাল সংগ্রহের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০–এর লঙ্ঘন।
অভিযান চলাকালে দেখা যায়, ইটভাটায় নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে এলাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে এবং আশপাশের মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ভাটার পাশের একটি স’মিলে গাছ চিরাই করে সরাসরি কাঠ ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহারের অভিযোগও পাওয়া যায়।
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘এম এ ব্রিক’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা পরিশোধ না করায় ভাটার ম্যানেজার তাপস পালকে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভাটার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করে বাউফল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অভিযান শেষে ইটভাটাটি থানা পুলিশের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। ভাটা পুনরায় চালু করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বৈধ লাইসেন্সসহ সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু। তিনি সতর্ক করে বলেন, কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়া আবার ভাটা চালু করা হলে মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অনুমোদন ছাড়া ইটভাটা পরিচালনার কারণে শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যে ক্ষতি হচ্ছিল এবং কৃষিজমির মাটিও নষ্ট হচ্ছিল। প্রশাসনের এই অভিযানে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বিআলো/ইমরান



